ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যা বললেন তানজিন তিশা সাবেক মেয়র তাপসের ১০ কোটি টাকা ফ্রিজ বিচার বিভাগ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে : প্রধান বিচারপতি দয়াগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তাকারীর হামলায় জবি শিক্ষার্থী আহত, আটক ৪ খালেদা জিয়া হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইরানের শত্রুরা খামেনিকে হত্যার চেষ্টার পরিকল্পনা করছে ওবায়দুল কাদেরের ‘কথিত পালকপুত্র’ হিরুর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু মহানবীর ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা হবে বিএনপির মূলমন্ত্র হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে আয়ারল্যান্ডের প্রতিরোধ ভেঙে দাপুটে জয় বাংলাদেশের

সচিবালয়ে সঙ্কট নিরসনে ৮ সদস্যের সচিব কমিটি

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:০১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ১৯৪ Time View

সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান সংকট নিরসনে ৮ সদস্যের সচিব কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এই কমিটি বিক্ষোভরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বসবে।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ তথ্য যুগান্তরকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান বাদিউল কবির। তিনি জানান, সচিব কমিটি আমাদের সঙ্গে বসবে বলে জানিয়েছেন। তবে বৈঠক কখন হবে সেটি জানা যায়নি।

এদিকে নিরাপত্তাবলয় ভেঙে চতুর্থদিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভের সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘কর্মচারী মানে না, অবৈধ কালে আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কাল আইন’, ‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’- এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে আজ সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সচিবালয়ের গেটগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান কর্মচারীরা। তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়ারা বলেন, কালাকানুন যুক্ত করে প্রণীত অধ্যাদেশ কেউ মানবে না। ১৯৭৯ সালের সরকারি চাকরির বিশেষ বিধান ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করেছেন। এই বাতিল বিধান পুনরুজ্জীবিত করার মানে নতুনভাবে বিতর্ক তৈরি করা। বর্তমান সরকার সেই কাজটিই করেছে। এর ফলে কর্মচারীদের অধিকার খর্ব হবে, তারা কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়বে। কাজেই এই অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে। অন্যথায় যে কোনো মূল্যে এটা প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের সব রুমে তালা দেবেন বলে ঘোষণা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সচিবালয়ে সঙ্কট নিরসনে ৮ সদস্যের সচিব কমিটি

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০৪:০১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান সংকট নিরসনে ৮ সদস্যের সচিব কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এই কমিটি বিক্ষোভরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বসবে।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ তথ্য যুগান্তরকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান বাদিউল কবির। তিনি জানান, সচিব কমিটি আমাদের সঙ্গে বসবে বলে জানিয়েছেন। তবে বৈঠক কখন হবে সেটি জানা যায়নি।

এদিকে নিরাপত্তাবলয় ভেঙে চতুর্থদিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভের সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘কর্মচারী মানে না, অবৈধ কালে আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কাল আইন’, ‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’- এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে আজ সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সচিবালয়ের গেটগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান কর্মচারীরা। তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়ারা বলেন, কালাকানুন যুক্ত করে প্রণীত অধ্যাদেশ কেউ মানবে না। ১৯৭৯ সালের সরকারি চাকরির বিশেষ বিধান ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করেছেন। এই বাতিল বিধান পুনরুজ্জীবিত করার মানে নতুনভাবে বিতর্ক তৈরি করা। বর্তমান সরকার সেই কাজটিই করেছে। এর ফলে কর্মচারীদের অধিকার খর্ব হবে, তারা কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়বে। কাজেই এই অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে। অন্যথায় যে কোনো মূল্যে এটা প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের সব রুমে তালা দেবেন বলে ঘোষণা করেন।