সওজে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন, আইইবির অসন্তোষ
- Update Time : ০৬:৫৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ২৯৬ Time View
মুস্তাকিম নিবিড়ঃ
সওজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে এখনো আওয়ামী পন্থী বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।হাজারো ছাত্র জনতার বুকের তাজা রক্তে ভেসে গিয়ে সীমান্ত ছাড়া হয়েছে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদ সরকার। কিন্তু তাদের দোসরা এখনো সক্রিয়, প্রচন্ড প্রতাপ এর সাথে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর অংশে বিগত সময়ে নীরবে কাজ চালিয়ে গেলেও ইদানিং প্রকাশ্যে তাদের নীল নকশা বাস্তবায়ন শুরু করেছেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে এখনও সেই পতিত শক্তির দৌরাত্ম্য থামেনেই। আর থামবেও বা কিভাবে? জানা যায় সড়ক প্রধানই নাকি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সক্রিয় কর্মী, যিনি এখনও বহাল তবিয়তে থেকে আওয়ামী পন্থী প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আওয়ামী পন্থী প্রকৌশলীদের বিদেশে প্রেরন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দায়িত্বে আওয়ামী পন্থী প্রকৌশলীদের অগ্রাধিকার দেওয়া, নির্দলীয় প্রকৌশলীদের কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠে, সওজ কে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে একইসঙ্গে ৫০টিরও বেশি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেন সড়কের প্রধান প্রকৌশলী। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা থেকে তৎকালীন মন্ত্রীর সাথে ছিলেন তার দহরম মহরম সম্পর্ক। তার পরিবারের অনেকেই রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বরত। সেই সুবাদেই বহাল তবিয়তে তিনি। সওজে থাকবেন আরো পাঁচ বছর।
বিভিন্ন মহলে তিনি দাবি করেন বর্তমান ছাত্র জনতার সরকারের সড়ক ও সেতু বিভাগের উপদেষ্টা কেও নাকি খুব ভালোভাবে ম্যানেজ করেছেন। আওয়ামী পন্থী প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টিং এর ক্ষেত্রে নাকি তার এক ইশারাই যথেষ্ট। সেখানে নির্দলীয় প্রকৌশলীরা রয়েছে কোণঠাসা অবস্থায়।
অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার সংকটে এবং প্রধান প্রকৌশলীর দায়িতাহীনতায় প্রায় ১২৩০ কিলোমিটার রাস্তা এবং ৩৫০ সেতু বেহাল দশায় রয়েছে। বিগত সময় ভয়াবহ বন্যায় মহাসড়ক ও সেতুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, যা সংস্কারে সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না আওয়ামী পন্থী ক্ষ্যাত এই প্রধান প্রকৌশলী। মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে স্ব পদে বহাল থাকলেও সঠিক সময় মতো সংস্কার কাজের বেলায় কি তিনি নিশ্চুপ?
এরই মধ্যে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা (আওয়ামীপন্থী-সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) প্রকৌশলীদের তিনি বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠিয়েছেন যখন দেশে থেকে তাদের স্ব স্ব অবস্থানে অতি বর্ষন ও বন্যা পরিস্থিতির পর সড়ক সংস্কার কার্যে কর্মব্যাস্ত থাকার কথা। যেকোনো ব্যর্থতার দায় তিনি নিজ কাঁধে না নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কাঁধে চাপিয়ে দেন। নিজেকে ফ্রেশ ইমেজে রাখতে প্রচন্ড কেরামতি দেখাতে সিদ্ধ হস্ত এই প্রধান প্রকৌশলী। সওজ জুড়ে স্থবিরতা- এটি কি তার নিছক অপারগতা? নাকি চলমান সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারা?
সওজের সাদা ইমেজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান। যেখানে প্রতিটি কর্মকর্তা কোন না কোনভাবে দুর্নীতি অনিয়মের শিকার বলে দাবি করছে বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রি সচিবরা। সড়কে চাকরি করলে নাকি টাকার মেশিন ঘোরানো যায়, বনে যাওয়া যায় ধনকুবের। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনেকেই দাবি করেন ফেরেশতা তুল্য ধবধবে সাদা ইমেজের প্রধান প্রকৌশলী নাকি দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘোলা কালো জলে নিজের হাত ডুবোন না। তিনি নাকি সততার মূর্ত প্রতীক। আর কেউ কেউ বলে থাকেন তিনি সরাসরি হাত না ভেজালেও তার সিন্ডিকেট মেম্বার দের ব্যবহার করেই সেইফ সাইডে থেকে বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
সড়কের যে প্রকৌশলীদের সাথে তার দহরম মহরম, তাদের আমলনামা বিভিন্ন পত্র পত্রিকার মাধ্যমে দেশবাসী ইতিমধ্যে জেনে গেছে। সাদা ইমেজ খ্যাত সাবেক আওয়ামী সরকারের আস্থাভাজন সড়কের প্রধান প্রকৌশলীর সততা নিষ্ঠা ও অন্যান্য কর্মযজ্ঞ নিয়ে চুল ছেঁড়া অনুসন্ধান চূড়ান্ত পর্যায়ে, যা দেখবেন দৈনিক নওরোজ পত্রিকার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে।
ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠে সোচ্চার থাকার বিষয়ে জোরালো ভুমিকা নেয়ার দাবি করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, উপদেষ্টাদের মুখেও একই কথা।
ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য বিগত দেড় যুগ ধরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফ্যাসিবাদ পুন প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
এদিকে সড়ক প্রধান প্রকৌশলী ও সওজের।সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে (IEB) দ্যা ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু দৈনিক নওরোজ কে জানায় ” রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনীতি মুক্ত থাকা প্রয়োজন, প্রকৌশলীদের প্রধান কাজ দেশ গড়ায় মনোনিবেশ করা। সওজে বিগত সময়ের রাজনৈতিক পক্ষপাত মূলক আচরণ অব্যাহত রয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জেনেছি, আমরা অনুসন্ধান করছি আপনারাও করুন”





























































































































































































