ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিআইডব্লিউটিসিনামা-২

সংস্থা ধ্বংসকারী শেখ হাসিনার দোসর আশিকুজ্জামান এখনো বহাল তবিয়তে

আবদুল গাফফার মাহমুদ
  • Update Time : ০৮:১৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৭ Time View

বিআইডব্লিউটিসি ধ্বংসের নায়ক পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান। দক্ষিণ এশিয়ার লেডি হিটলারখ্যাত পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে জীবন বাঁচানো শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর এই আশিকুজ্জামান। তিনি নিজেকে সব সময় হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে জাহির করতেন। ফলে ভয়ে কেউ তার কোন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না।
একসময় বাংলাদেশের নৌপথে নেতৃত্বদানকারী এই সংস্থাটি আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে শুধুমাত্র আশিকুজ্জামান সিন্ডিকেটের কারণে। এই অভিযোগ সংস্থার অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

তারা জানান, আশিকুজ্জামান সিন্ডিকেটের প্রতিটি সদস্য শত কোটি টাকার মালিক। গত ১৬/১৭ বছরে তারা একচ্ছত্র লুটপাট করে এই অবৈধ অর্থের মালিক বনে গেছে।

সূত্রমতে, আশিকুজ্জামান এখনো বিআইডব্লিউটিসি নিয়ন্ত্রণ করেন। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নামমাত্র তার হাতের পুুতুল। এই আশিকুজ্জামান সাবেক চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাসকে ৫০ লাখ টাকা গুণে দিয়ে একজন সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে প্রমোশন নেন। বর্তমান চেয়ারম্যান সঞ্জয় বণিক তার কথায় উঠেন-বসেন বলেই অভিযোগ।

সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তার পকেটের লোক ছিলো বলে তিনি জাহির করতেন। শাজাহান খানের পিএস সোহরাব হোসেন গোপালগঞ্জের লোক ছিলেন। আশিকুজ্জামান নিজেকেও হাসিনার আত্মীয় পরিচয় দিতেন।

ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী এই আশিকুজ্জামানের কর্মকান্ড নিয়ে কেউ টু-শব্দটি করেও রেহাই পেতো না। তার নির্দেশে নানাভাবে হয়রানী করা হতো কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। স্বৈরাচারের ১৫ বছরের শাসনামলে অনেককে মাস্তান বাহিনী দিয়ে পিটিয়েছেন এমন অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। আশিকুজ্জামান স্বৈরাচারমুক্ত স্বাধীন দেশে আবার নববেশে আবির্ভূত হয়েছে। তার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বিএনপি ঘরানার একজন নেতার পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে তিনি এখন ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বিআইডব্লিউটিসিনামা-২

সংস্থা ধ্বংসকারী শেখ হাসিনার দোসর আশিকুজ্জামান এখনো বহাল তবিয়তে

আবদুল গাফফার মাহমুদ
Update Time : ০৮:১৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বিআইডব্লিউটিসি ধ্বংসের নায়ক পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান। দক্ষিণ এশিয়ার লেডি হিটলারখ্যাত পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে জীবন বাঁচানো শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর এই আশিকুজ্জামান। তিনি নিজেকে সব সময় হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে জাহির করতেন। ফলে ভয়ে কেউ তার কোন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না।
একসময় বাংলাদেশের নৌপথে নেতৃত্বদানকারী এই সংস্থাটি আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে শুধুমাত্র আশিকুজ্জামান সিন্ডিকেটের কারণে। এই অভিযোগ সংস্থার অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

তারা জানান, আশিকুজ্জামান সিন্ডিকেটের প্রতিটি সদস্য শত কোটি টাকার মালিক। গত ১৬/১৭ বছরে তারা একচ্ছত্র লুটপাট করে এই অবৈধ অর্থের মালিক বনে গেছে।

সূত্রমতে, আশিকুজ্জামান এখনো বিআইডব্লিউটিসি নিয়ন্ত্রণ করেন। চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নামমাত্র তার হাতের পুুতুল। এই আশিকুজ্জামান সাবেক চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাসকে ৫০ লাখ টাকা গুণে দিয়ে একজন সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে প্রমোশন নেন। বর্তমান চেয়ারম্যান সঞ্জয় বণিক তার কথায় উঠেন-বসেন বলেই অভিযোগ।

সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তার পকেটের লোক ছিলো বলে তিনি জাহির করতেন। শাজাহান খানের পিএস সোহরাব হোসেন গোপালগঞ্জের লোক ছিলেন। আশিকুজ্জামান নিজেকেও হাসিনার আত্মীয় পরিচয় দিতেন।

ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী এই আশিকুজ্জামানের কর্মকান্ড নিয়ে কেউ টু-শব্দটি করেও রেহাই পেতো না। তার নির্দেশে নানাভাবে হয়রানী করা হতো কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। স্বৈরাচারের ১৫ বছরের শাসনামলে অনেককে মাস্তান বাহিনী দিয়ে পিটিয়েছেন এমন অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। আশিকুজ্জামান স্বৈরাচারমুক্ত স্বাধীন দেশে আবার নববেশে আবির্ভূত হয়েছে। তার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বিএনপি ঘরানার একজন নেতার পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে তিনি এখন ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন।