ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিককে পেটানোর হুমকি ছাত্রদল নেতার

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা
  • Update Time : ১২:৩৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪৭ Time View

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সংবাদিকদের ‘পেটানোর’ হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম হৃদয়। এ বিষয়ে জাহিদকে প্রশ্ন করলে এনটিভির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রোহান চিশতীকে মারতে উদ্ধত হয় সে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান চলাকালে ছবি ও ভিডিও ধারণের জন্য একসঙ্গে সামনের দিকে যান বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা। এ সময় পেছন থেকে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম। কয়েকজন সাংবাদিক সরে গেলেও সময়ের আলোর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা আশরাফুল আলম তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের কথা জানিয়ে অবস্থান নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহিদুল ইসলাম তাকে ‘বেয়াদব’ বলে গালাগাল করেন এবং প্রকাশ্যে থাপড়ানোর হুমকি দেন।

ঘটনার সময় অনুষ্ঠানের কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান লিটনসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সময়ের আলোর সংবাদদাতা আশরাফুল আলম বলেন, ছবি তোলার সময় আমাকে সরে দাঁড়াতে বললে আমি সাংবাদিক পরিচয় জানিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কথা বলি। এরপর সে আরও উত্তেজিত হয়ে বলে ‘তুই বেয়াদবি করতেছোস, তোরে এখন থাপড়াবো।’ তারপর প্রক্টর ও অন্যান্য শিক্ষকরা এসে আমাদের সরিয়ে নেন।

এনটিভির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রোহান চিশতী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়ে সময়ের আলোর সংবাদদাতাকে মারার হুমকি দেওয়ায় অনুষ্ঠান শেষে তার কাছে ঘটনার কারণ জানতে চাই। এ সময় সে বলে, আমি আমার ছোট ভাইকে থাপড়ানোর কথা বলছি। পরে আমি ঘটনা জানতে চাইলে সে আমাকে মারতে উদ্যত হয় ও বলতে থাকে ‘তুই কি আরও বুঝতে চাইতেছোস?’ এসময় একাধিকবার আমাকে ‘সাংঘাতিক’ বলে সম্বোধন করে সে।

এর আগেও অনুষ্ঠানে একাধিক সাংবাদিকের সাথে উগ্র আচরণ করে সে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার বার্তার প্রতিনিধি মো. মুমিন ইসলাম সবুজ বলেন, রেজিস্ট্রার স্যারের বক্তব্য চলাকালে আমি ভিডিও নেওয়ার জন্য তার সামনে দাঁড়ালে সে আমাকে বাজেস্বরে বলে ‘সরো ওদিকে’। এরপর আরেকজনের সামনে দাঁড়ালে সেও ঠিক একই ব্যবহার করে। পরবর্তীতে জানতে পারি আমাদের একজন সহকর্মীকেও সে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

সাংবাদিককে পেটানোর হুমকি ছাত্রদল নেতার

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা
Update Time : ১২:৩৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সংবাদিকদের ‘পেটানোর’ হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম হৃদয়। এ বিষয়ে জাহিদকে প্রশ্ন করলে এনটিভির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রোহান চিশতীকে মারতে উদ্ধত হয় সে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান চলাকালে ছবি ও ভিডিও ধারণের জন্য একসঙ্গে সামনের দিকে যান বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা। এ সময় পেছন থেকে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম। কয়েকজন সাংবাদিক সরে গেলেও সময়ের আলোর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা আশরাফুল আলম তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের কথা জানিয়ে অবস্থান নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহিদুল ইসলাম তাকে ‘বেয়াদব’ বলে গালাগাল করেন এবং প্রকাশ্যে থাপড়ানোর হুমকি দেন।

ঘটনার সময় অনুষ্ঠানের কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান লিটনসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সময়ের আলোর সংবাদদাতা আশরাফুল আলম বলেন, ছবি তোলার সময় আমাকে সরে দাঁড়াতে বললে আমি সাংবাদিক পরিচয় জানিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কথা বলি। এরপর সে আরও উত্তেজিত হয়ে বলে ‘তুই বেয়াদবি করতেছোস, তোরে এখন থাপড়াবো।’ তারপর প্রক্টর ও অন্যান্য শিক্ষকরা এসে আমাদের সরিয়ে নেন।

এনটিভির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রোহান চিশতী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়ে সময়ের আলোর সংবাদদাতাকে মারার হুমকি দেওয়ায় অনুষ্ঠান শেষে তার কাছে ঘটনার কারণ জানতে চাই। এ সময় সে বলে, আমি আমার ছোট ভাইকে থাপড়ানোর কথা বলছি। পরে আমি ঘটনা জানতে চাইলে সে আমাকে মারতে উদ্যত হয় ও বলতে থাকে ‘তুই কি আরও বুঝতে চাইতেছোস?’ এসময় একাধিকবার আমাকে ‘সাংঘাতিক’ বলে সম্বোধন করে সে।

এর আগেও অনুষ্ঠানে একাধিক সাংবাদিকের সাথে উগ্র আচরণ করে সে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার বার্তার প্রতিনিধি মো. মুমিন ইসলাম সবুজ বলেন, রেজিস্ট্রার স্যারের বক্তব্য চলাকালে আমি ভিডিও নেওয়ার জন্য তার সামনে দাঁড়ালে সে আমাকে বাজেস্বরে বলে ‘সরো ওদিকে’। এরপর আরেকজনের সামনে দাঁড়ালে সেও ঠিক একই ব্যবহার করে। পরবর্তীতে জানতে পারি আমাদের একজন সহকর্মীকেও সে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।