ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেকৃবির ‘নকল গবেষণাপত্র’ কাণ্ডে লেখকের ক্ষমা প্রার্থনা

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪৭ Time View

অনুমতি ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফের নাম যুক্ত করে এক গবেষণাপত্র প্রকাশের ঘটনায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গবেষণাপত্রটির প্রধান ও যোগাযোগকারী লেখক হিসেবে দায় স্বীকার করে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এর গবেষক ড. মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে ঘটনাটি সামনে আসে। তার অভিযোগ, ২০১৪ সালে তার প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি হুবহু নকল করে ২০১৭ সালে প্রকাশ করেছেন শেকৃবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক লতিফ। এ ঘটনায় তিনি মেধাস্বত্ব চৌর্যবৃত্তির (প্লেজিয়ারিজম) অভিযোগ এনে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বিতর্কিত গবেষণাপত্রটিতে ড. সরোয়ার প্রধান লেখক এবং অধ্যাপক লতিফকে সহলেখক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে ক্ষমা প্রার্থনা বিবৃতিতে ড. সরোয়ার স্বীকার করেন, অধ্যাপক লতিফের মৌখিক বা লিখিত কোনো অনুমতি ছাড়াই তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে, এমনকি প্রকাশনার খসড়া বা রিপ্রিন্টও উপাচার্যকে সরবরাহ করা হয়নি।

ড. সরোয়ার বলেন, “অধ্যাপক লতিফ আমার পিএইচডি সুপারভাইজার ছিলেন সেজন্য তার নাম ব্যবহার করেছি কিন্তু তিনি প্রবন্ধ প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না।”

জানা যায়, ড. সরোয়ার ২০১৭ সালে শেকৃবির কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বর্তমান উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফের আন্ডারে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি কারিকুলামে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশনা বাধ্যতামূলক না থাকলেও ড. সরোয়ার নিজ উদ্যোগে উক্ত গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশ করেন।

এবিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ বলেন, “২০১৭ সালে ড. সরওয়ার আমার তত্ত্বাবধানে পিএইচডি সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে তিনি নিজে প্রধান যোগাযোগকারী লেখক ও আমাকে সহলেখক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে তা জার্নালে প্রকাশ করে। সম্পূর্ণ কাজটি করা হয়েছে আমাকে না জানিয়ে। বিষয়টি আমি মিডিয়ার মাধ্যমে এই প্রথম জানলাম।” আইনের মাধ্যমে বিষয়টির জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

শেকৃবির ‘নকল গবেষণাপত্র’ কাণ্ডে লেখকের ক্ষমা প্রার্থনা

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ১১:১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

অনুমতি ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফের নাম যুক্ত করে এক গবেষণাপত্র প্রকাশের ঘটনায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গবেষণাপত্রটির প্রধান ও যোগাযোগকারী লেখক হিসেবে দায় স্বীকার করে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এর গবেষক ড. মোহাম্মদ গোলাম সরোয়ার বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে ঘটনাটি সামনে আসে। তার অভিযোগ, ২০১৪ সালে তার প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি হুবহু নকল করে ২০১৭ সালে প্রকাশ করেছেন শেকৃবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক লতিফ। এ ঘটনায় তিনি মেধাস্বত্ব চৌর্যবৃত্তির (প্লেজিয়ারিজম) অভিযোগ এনে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বিতর্কিত গবেষণাপত্রটিতে ড. সরোয়ার প্রধান লেখক এবং অধ্যাপক লতিফকে সহলেখক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে ক্ষমা প্রার্থনা বিবৃতিতে ড. সরোয়ার স্বীকার করেন, অধ্যাপক লতিফের মৌখিক বা লিখিত কোনো অনুমতি ছাড়াই তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে, এমনকি প্রকাশনার খসড়া বা রিপ্রিন্টও উপাচার্যকে সরবরাহ করা হয়নি।

ড. সরোয়ার বলেন, “অধ্যাপক লতিফ আমার পিএইচডি সুপারভাইজার ছিলেন সেজন্য তার নাম ব্যবহার করেছি কিন্তু তিনি প্রবন্ধ প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না।”

জানা যায়, ড. সরোয়ার ২০১৭ সালে শেকৃবির কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বর্তমান উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফের আন্ডারে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি কারিকুলামে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশনা বাধ্যতামূলক না থাকলেও ড. সরোয়ার নিজ উদ্যোগে উক্ত গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশ করেন।

এবিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ বলেন, “২০১৭ সালে ড. সরওয়ার আমার তত্ত্বাবধানে পিএইচডি সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে তিনি নিজে প্রধান যোগাযোগকারী লেখক ও আমাকে সহলেখক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে তা জার্নালে প্রকাশ করে। সম্পূর্ণ কাজটি করা হয়েছে আমাকে না জানিয়ে। বিষয়টি আমি মিডিয়ার মাধ্যমে এই প্রথম জানলাম।” আইনের মাধ্যমে বিষয়টির জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।