ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেকৃবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণে শর্ট ফিল্ম ‘রুম নং ২০১১’ প্রদর্শন

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৯৫৭ Time View

আবরার ফাহাদের স্মরণে নির্মিত চলচ্চিত্র 'রুম নং ২০১১'

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখার উদ্যোগে আবরার ফাহাদের স্মরণে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত শর্ট ফিল্ম ‘রুম নং ২০১১’ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বড় পর্দায় চলচ্চিত্রটি দেখানো হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দও।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁর মৃত্যু সারা দেশে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়। পরবর্তীতে আবরার ফাহাদ অপরাজনীতি ও ক্যাম্পাস সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হন। তাঁর নির্মম নির্যাতনের সাক্ষী সেই কক্ষের নম্বরেই চলচ্চিত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ‘রুম নং ২০১১’।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদের উদ্যোগে নির্মিত ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। তবে সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘জিসু এন্টারটেইনমেন্ট’-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শেকৃবির কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন ইমন বলেন, “আবরার ফাহাদ আমাদের শিখিয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। আমাদের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করা, সরকারের সমালোচনা করা মানেই দেশবিরোধী এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা, এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করা।”

তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা, দেশপ্রেম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রেরণা জোগাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ভবিষ্যতে যেন আর কোনো শিক্ষার্থী অপরাজনীতির বলি না হয়, সেই আশা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।”

এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী রাহাত ইসলাম বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পর ক্যাম্পাসগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের যে ধারা শুরু হয়েছে, এই আয়োজন তারই একটি নিদর্শন।” ক্যাম্পাসগুলো আর কখনো দাপুটে অপরাজনীতির কবলে না পড়ুক এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।

Please Share This Post in Your Social Media

শেকৃবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণে শর্ট ফিল্ম ‘রুম নং ২০১১’ প্রদর্শন

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৫৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখার উদ্যোগে আবরার ফাহাদের স্মরণে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত শর্ট ফিল্ম ‘রুম নং ২০১১’ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বড় পর্দায় চলচ্চিত্রটি দেখানো হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দও।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁর মৃত্যু সারা দেশে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়। পরবর্তীতে আবরার ফাহাদ অপরাজনীতি ও ক্যাম্পাস সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হন। তাঁর নির্মম নির্যাতনের সাক্ষী সেই কক্ষের নম্বরেই চলচ্চিত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ‘রুম নং ২০১১’।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদের উদ্যোগে নির্মিত ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। তবে সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘জিসু এন্টারটেইনমেন্ট’-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শেকৃবির কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন ইমন বলেন, “আবরার ফাহাদ আমাদের শিখিয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। আমাদের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করা, সরকারের সমালোচনা করা মানেই দেশবিরোধী এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা, এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করা।”

তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা, দেশপ্রেম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রেরণা জোগাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ভবিষ্যতে যেন আর কোনো শিক্ষার্থী অপরাজনীতির বলি না হয়, সেই আশা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।”

এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী রাহাত ইসলাম বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পর ক্যাম্পাসগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের যে ধারা শুরু হয়েছে, এই আয়োজন তারই একটি নিদর্শন।” ক্যাম্পাসগুলো আর কখনো দাপুটে অপরাজনীতির কবলে না পড়ুক এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।