ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেয়েছে এনসিপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভবিষ্যত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথচলার রূপরেখা অঙ্কন করবে: ইসি সানাউল্লাহ আরেক মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন জয় আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান পাচারের অর্থ ফেরত আনার সক্ষমতা বর্তমান সরকারের নেই : রেজা কিবরিয়া দাম কমিয়ে বৈধ আমদানি বাড়াতে মোবাইল ফোনে শুল্ক কমছে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ : চরমোনাই পীর ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিবের দায়িত্বে হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি' অধ্যাদেশ দাবি

শিক্ষা ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২২ Time View

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে রোববার ‘শিক্ষা ভবনের’ সামনে ‘লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি’ পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, “আমরা চাই আজকে অথবা আগামীকালের মধ্যে অধ্যাদেশ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ করে অধ্যাদেশ ঘোষণা না করলে আগামী রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, এভাবে করে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত, অধ্যাদেশ আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ওইখানে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী অবস্থান করব।

“পুলিশ ভাইদের প্রতি আহ্বান জানাই, এ রাষ্ট্রের এক মিনিট ক্ষতি হয়, সেটা আমরা চাইনি। যার ফলে আমরা রাস্তায় তেমন কোনো কর্মসূচি করিনি। সর্বশেষ যেহেতু আমাদের অভিভাবকরা সচিবালয়ে বসে থাকেন। কাজেই আমাদের কর্মসূচি হবে আমাদের অভিভাবকদের প্রাণের কাছে, হৃদয়ের কাছে শিক্ষা ভবন প্রাঙ্গণে। আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৭ নভেম্বর বিগত দিনের মত, যতক্ষণ পর্যন্ত অধ্যাদেশ না আসছে ততক্ষণ অবস্থান করব। সেখানে প্রয়োজনে রান্নাবান্না হবে, তাও আমরা ওইখানেই থাকব।”

বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। আজিমপুর মোড় ঘুরে দুপুর ২টার পর ঢাকা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

বিক্ষোভ-মিছিল ও সড়ক অবরোধের কারণে মিরপুর সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী যাত্রী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারী। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে যানবাহন চলাচল আবার শুরু হয়।

আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বড় সাতটি কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া গুছিয়ে এনেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ এর প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মত মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কায় আছেন।

আর কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।

এ কাঠামোর বিরোধিতা করছে কলেজগুলোর শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদ’। তারা ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত ‘স্কুলিং পদ্ধতি’ বাতিল ও একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি' অধ্যাদেশ দাবি

শিক্ষা ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১১:০৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে রোববার ‘শিক্ষা ভবনের’ সামনে ‘লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি’ পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, “আমরা চাই আজকে অথবা আগামীকালের মধ্যে অধ্যাদেশ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ করে অধ্যাদেশ ঘোষণা না করলে আগামী রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, এভাবে করে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত, অধ্যাদেশ আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ওইখানে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী অবস্থান করব।

“পুলিশ ভাইদের প্রতি আহ্বান জানাই, এ রাষ্ট্রের এক মিনিট ক্ষতি হয়, সেটা আমরা চাইনি। যার ফলে আমরা রাস্তায় তেমন কোনো কর্মসূচি করিনি। সর্বশেষ যেহেতু আমাদের অভিভাবকরা সচিবালয়ে বসে থাকেন। কাজেই আমাদের কর্মসূচি হবে আমাদের অভিভাবকদের প্রাণের কাছে, হৃদয়ের কাছে শিক্ষা ভবন প্রাঙ্গণে। আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৭ নভেম্বর বিগত দিনের মত, যতক্ষণ পর্যন্ত অধ্যাদেশ না আসছে ততক্ষণ অবস্থান করব। সেখানে প্রয়োজনে রান্নাবান্না হবে, তাও আমরা ওইখানেই থাকব।”

বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। আজিমপুর মোড় ঘুরে দুপুর ২টার পর ঢাকা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

বিক্ষোভ-মিছিল ও সড়ক অবরোধের কারণে মিরপুর সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী যাত্রী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারী। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে যানবাহন চলাচল আবার শুরু হয়।

আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বড় সাতটি কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া গুছিয়ে এনেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন।

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ এর প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মত মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কায় আছেন।

আর কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।

এ কাঠামোর বিরোধিতা করছে কলেজগুলোর শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদ’। তারা ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত ‘স্কুলিং পদ্ধতি’ বাতিল ও একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।