ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থী মৃত্যুর এক বছর পরও সংস্কারহীন শেকৃবির পুকুর

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৪৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৩০ Time View

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কেন্দ্রীয় পুকুরে শিক্ষার্থী মৃত্যুর এক বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৯ ব্যাচের (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী পল্লব কুণ্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণা মাঠে ব্যবহারিক ক্লাসের অংশ হিসেবে গ্রুপভিত্তিক বীজতলা তৈরি শেষে বন্ধুদের সাথে পুকুরে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যায়। প্রায় এক ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুকুরের ঘাট সংস্কারের দাবি তোলা হয়। অভিযোগ ছিল, ঘাটের সিঁড়ি নিচ পর্যন্ত না গিয়ে হঠাৎ গভীর হয়ে গেছে, পুকুরের ঘাট তৈরির সময় অপরিকল্পিতভাবে সিঁড়িগুলো তৈরি করা হয়েছে। তবে উক্ত ঘটনার পরপরই প্রশাসন শুধু প্রবেশপথে নোটিশ টাঙিয়ে টিন দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়।

এক বছর পার হলেও সেই অস্থায়ী ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, পুকুর বন্ধ করে রাখা সমাধান নয়; অবকাঠামোগত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পল্লবের স্মৃতি সংরক্ষণে একটি মুরাল নির্মাণের দাবিও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী জিয়াউল হক বলেন, “রমজানের পুকুরে (কেন্দ্রীয় পুকুর) আগেও প্রাণহানি ঘটেছে। গত বছরের দুর্ঘটনার পর আমরা সংস্কারের দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু এক বছর পেরিয়েও তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। পুকুর বন্ধ রাখা কোনো সমাধান নয়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন বলেন, “পুকুরের ঘাটে অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। এর সংস্কার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নতুন বাজেট পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। দ্রুতই সংস্কার শেষে পুকুর উন্মুক্ত করা হবে।”

Please Share This Post in Your Social Media

শিক্ষার্থী মৃত্যুর এক বছর পরও সংস্কারহীন শেকৃবির পুকুর

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৪৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কেন্দ্রীয় পুকুরে শিক্ষার্থী মৃত্যুর এক বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৯ ব্যাচের (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী পল্লব কুণ্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণা মাঠে ব্যবহারিক ক্লাসের অংশ হিসেবে গ্রুপভিত্তিক বীজতলা তৈরি শেষে বন্ধুদের সাথে পুকুরে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যায়। প্রায় এক ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুকুরের ঘাট সংস্কারের দাবি তোলা হয়। অভিযোগ ছিল, ঘাটের সিঁড়ি নিচ পর্যন্ত না গিয়ে হঠাৎ গভীর হয়ে গেছে, পুকুরের ঘাট তৈরির সময় অপরিকল্পিতভাবে সিঁড়িগুলো তৈরি করা হয়েছে। তবে উক্ত ঘটনার পরপরই প্রশাসন শুধু প্রবেশপথে নোটিশ টাঙিয়ে টিন দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়।

এক বছর পার হলেও সেই অস্থায়ী ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, পুকুর বন্ধ করে রাখা সমাধান নয়; অবকাঠামোগত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পল্লবের স্মৃতি সংরক্ষণে একটি মুরাল নির্মাণের দাবিও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী জিয়াউল হক বলেন, “রমজানের পুকুরে (কেন্দ্রীয় পুকুর) আগেও প্রাণহানি ঘটেছে। গত বছরের দুর্ঘটনার পর আমরা সংস্কারের দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু এক বছর পেরিয়েও তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। পুকুর বন্ধ রাখা কোনো সমাধান নয়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. সরোয়ার হোসেন বলেন, “পুকুরের ঘাটে অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। এর সংস্কার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নতুন বাজেট পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। দ্রুতই সংস্কার শেষে পুকুর উন্মুক্ত করা হবে।”