শিক্ষার্থীরা চাকরির কথা ভাবছে, আমরা ভাবছি জাতীয় স্বার্থে” — ড. হাশেম

- Update Time : ০৭:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৮৩ Time View
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা প্রায় এক মাস ধরে কম্বাইন্ড (বি.এসসি ইন ভেট সায়েন্স অ্যান্ড এএইচ) ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এ দাবিতে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে অবরোধও করেছেন। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষকরা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম বলেন, “শিক্ষার্থীরা কেবল নিজেদের চাকরির কথা ভাবছে, অথচ আমরা জাতীয় স্বার্থে চিন্তা করি। ভোটের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষার্থীও যদি কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে যায়, তবুও এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ কেবল স্নাতক শিক্ষার্থীরাই এই সেক্টরের একমাত্র অংশীদার নয়। প্রাণিসম্পদ সেক্টরে আরও অংশীজন আছে, তাদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রজ্ঞা স্নাতক শিক্ষার্থীদের নেই। প্রথম বর্ষের নতুন শিক্ষার্থীদের ভোটদানের চেয়ে পঞ্চম বর্ষ বা মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের মতামত অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
ড. হাশেম অভিযোগ করেন, “২০১৯ সালে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন করে অন্যায়ভাবে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু করা হয়েছে। যেখানে ৭০ শতাংশ পশুচিকিৎসা ও ৩০ শতাংশ পশু ব্যবস্থাপনা পড়ানো হয়। বিশেষায়নের এই যুগে অসম্পূর্ণ এ ডিগ্রি প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের অনুষদের গ্রাজুয়েটরা ইতোমধ্যেই প্রাইভেট সেক্টর, পোল্ট্রি, ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কাজ করছেন। তারা বেকার নন। যদি মন্ত্রণালয় জোর করে যৌথ ডিগ্রি বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, আমরা বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেব।”
পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী প্রথম ১৫ দিন ক্লাস না করলে ভর্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। যেহেতু প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এখনো পর্যন্ত ক্লাসে আসেনি, বিষয়টি এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে, তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত জানাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ ডিগ্রি পরিবর্তন বা অনৈতিক কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তা মেনে নেয়া হবেনা। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে। দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে এনিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রিধারীদের চাকরিক্ষেত্র প্রসারিত করতে আমরা চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীরা অতিসত্বর ক্লাস পরীক্ষায় ফিরবেন বলে আশা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. এম এ হাশেম, অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ভূঞা, অধ্যাপক ড. মোখলেছুর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল মামুন, অধ্যাপক ড. মো শওকত আলী, অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্যা প্রমুখ।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়