শিক্ষার্থীদের সামনে ধুমপানসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

- Update Time : ১২:৪৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ৭৩ Time View
শিক্ষার্থীদের সামনে করেন ধুমপান, পরীক্ষার হলে বোর্ডে লিখে দেয়ারও নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের আগে স্কুলছুটি, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার মধ্যে বোর্ডে লিখে দেয়া, শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে ধুমপানসহ নানা অভিযোগ ওঠেছে।
এসব অনিয়ম নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এক লিখিত অভিযোগ দেন একই বিদ্যালয়ের মো. রাকিব নামের এক সহকারী শিক্ষক।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় ৪ টা ১৫ মিনিটে ছুটি হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক তার একক ক্ষমতাবলে সাড়ে তিনটার দিকেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে, বারান্দায়, এমনকি শিক্ষার্থীদের সামনেই প্রকাশ্যে ধুমপান করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ে আসলেও অল্পকিছুক্ষণের মধ্যেই উধাও হয়ে যান তিনি। নির্ধারিত রুটিনের বাইরে নিজের ইচ্ছেমতো পকেট রুটিন তৈরি করেন তিনি, যা দিয়েই চলে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেখানো হয় না আসল রুটিন।
এছাড়াও কিছু কিছু পর পর শিক্ষার্থীদের ঝাড়ু কেনার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগও করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আসনবিন্যাসের ব্যতায় ঘটিয়ে ইচ্ছে অনুযায়ী পরীক্ষার হলে বসানো হয় শিক্ষার্থীদের।
এছাড়াও, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষকদের বোর্ডে লিখে দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক। এতে করে শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন পড়াশোনা থেকে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাসছুল আলম বলেন, ‘এসব মিথ্যা অভিযোগ। আমি এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। ১০ তারিখের পর কথা বলবো।’
অভিযোগকারী রাকিব জানান, একজন প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা একটি বিদ্যালয়কে ধ্বংস করছে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিনষ্ট করছে। এমনটা চলতে দেয়া যায় না। প্রধান শিক্ষকের নানান কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিমুখ করছে, একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে তা আমি মেনে নিতে পারি না। পরীক্ষার হলে বোর্ডে লিখে দেয়া অনুচিত। এতে পড়াশোনার আর মূল্য থাকে কোথায়? আশা করি সব অভিযোগের বিহিত হবে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।