শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলা: শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়ছে আলীকদমের শিশুরা

- Update Time : ১১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫৭ Time View
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মেনক্য মেনকক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম, দায়িত্বহীনতা ও অবৈধ বালু ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকা এবং মাসে মাত্র একবার হাজিরা দিয়ে বেতন উত্তোলনের অভিযোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় দুই উন্নয়নকর্মী রিংয়ে ম্রো ও রাইতং ম্রো অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক আরিফুল্লাহ বছরের পর বছর স্কুলে অনুপস্থিত। অথচ তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় অবস্থান করে অবৈধ বালু ব্যবসা ও রাজনৈতিক তৎপরতায় জড়িত। মাসে একবার এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন তুলে নেন।
এমনকি সরই ইউনিয়নের বালুমহাল দখল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িত হয়ে আরিফুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। একইভাবে সম্প্রতি লোহাগাড়া থানায় দায়ের হওয়া এক অপহরণ ও নির্যাতন মামলার আসামিও তিনি। বর্তমানে তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তমাস ত্রিপুরা বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলতে পারবেন।
তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান জানান, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফুল্লাহ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, আমি গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে স্কুলে গিয়েছিলাম। শারীরিক অসুস্থতার কারণে গেল সপ্তাহে যেতে পারিনি। এসব ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ।
স্থানীয়রা বলছেন, একজন শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা। সেখানে দায়িত্ব পালনে এমন অনিয়ম শুধু শিক্ষার ক্ষতিই নয়, সামাজিক মূল্যবোধেও আঘাত হানে। প্রশাসনের কাছে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন অভিভাবক মহল।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়