ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
টিয়ার শেল নিক্ষেপ

শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, শতাধিক আহতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৭০ Time View

শিক্ষকদের শাহবাগ অভিমুখী পদযাত্রায় পুলিশের বাধা

প্রাথমিক শিক্ষকদের শাহবাগ অভিমুখী পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমি শিক্ষক নেতা শামসুদ্দিন মাসুদ জানান, তাদের শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন।

সকালে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সকাল ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো শিক্ষক সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন অংশসহ চারটি সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ। এছাড়াও ঢাকা–চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার অলহরী দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা শবনম বলেন, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে বেতন নিতে গেলে অফিস সহকারীরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান, আর আমরা শিক্ষক হয়ে পাই ১৩তম গ্রেডে। এই গ্রেড বৈষম্যের কারণে সম্মানও পাই না। আমাদের আয় এত কম যে বাজারে গিয়ে ভালো মাছও কেনা সম্ভব হয় না। দুই ঈদের বোনাস দিয়েও ঈদ ঠিকভাবে করা যায় না, কুরবানি তো দূরের কথা।

নড়িয়া উপজেলার শিক্ষক ইয়াছিন মিয়া বলেন, সরকারি গাড়িচালকরা পান ১২তম গ্রেডে বেতন, অথচ শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে। দেশে শিক্ষকদের এই অবমূল্যায়ন অগ্রহণযোগ্য।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন–লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, আলোচনা বহুবার হয়েছে, কিন্তু কোনো ফল নেই। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব।

সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বাস্তবায়ন।

Please Share This Post in Your Social Media

টিয়ার শেল নিক্ষেপ

শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, শতাধিক আহতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৫:১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

প্রাথমিক শিক্ষকদের শাহবাগ অভিমুখী পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমি শিক্ষক নেতা শামসুদ্দিন মাসুদ জানান, তাদের শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন।

সকালে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সকাল ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো শিক্ষক সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন অংশসহ চারটি সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ। এছাড়াও ঢাকা–চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার অলহরী দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা শবনম বলেন, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে বেতন নিতে গেলে অফিস সহকারীরা ১২তম গ্রেডে বেতন পান, আর আমরা শিক্ষক হয়ে পাই ১৩তম গ্রেডে। এই গ্রেড বৈষম্যের কারণে সম্মানও পাই না। আমাদের আয় এত কম যে বাজারে গিয়ে ভালো মাছও কেনা সম্ভব হয় না। দুই ঈদের বোনাস দিয়েও ঈদ ঠিকভাবে করা যায় না, কুরবানি তো দূরের কথা।

নড়িয়া উপজেলার শিক্ষক ইয়াছিন মিয়া বলেন, সরকারি গাড়িচালকরা পান ১২তম গ্রেডে বেতন, অথচ শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে। দেশে শিক্ষকদের এই অবমূল্যায়ন অগ্রহণযোগ্য।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন–লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বলেন, আলোচনা বহুবার হয়েছে, কিন্তু কোনো ফল নেই। এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব।

সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বাস্তবায়ন।