শাহবাগ থানা ঘেরাও ঢাবি শিক্ষার্থীদের

- Update Time : ০৪:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
- / ৩০ Time View
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানা ঘেরাও করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু বিচার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছেন তার সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা।
প্রায় দুই ঘন্টার অবস্থান শেষে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
এ হত্যাকাণ্ডের ‘প্রকৃত’ আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়ার পর তারা সরে যান। দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১১টার দিকে সাম্যর সহপাঠী ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে সমবেত হয়ে বেলা ১২টার আগে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন এবং ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেন।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘খুনি কেন বাইরে, প্রশাসন কী করে’, ‘আমার ভাই মরল কেন, শাহবাগ থানা জবাব চাই’—এমন নানা স্লোগানে মুখর করে তোলেন থানার সামনের সড়ক।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাম্যর হত্যার পর ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশের গ্রেপ্তারকৃত তিনজন অভিযুক্ত থাকলেও তারা ‘প্রধান ঘাতক’ নন বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ।
এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১০-১২ জন জড়িত থাকলেও মাত্র ৩ জনকে গ্রেপ্তার করাকে আইওয়াশ বলে উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা।
আইইআরের ইব্রাহিম মুন্সী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাম্য হত্যার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে যে ব্যক্তি ছুরিকাঘাত করেছিল, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সকল বিভাগ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও ওই ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা ঢাবি ক্যাম্পাস ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে না পারাকে শাহবাগ থানার ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ঘেরাও চলাকালে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধিদল থানায় গিয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা থানায় এসে তাদের দাবি জানিয়েছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আশ্বস্ত করেছি। এরপর তারা ফিরে গেছেন।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।