শাহজালালে উড্ডয়নের পরই টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

- Update Time : ০৪:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / ৫৫ Time View
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি টের পেয়ে বিমানটি জরুরি অবতরণ করেন পাইলট।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। প্লেনটিতে ২৯০ জন যাত্রী ছিলেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে আজ সকাল ৭টার দিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিমানটি আকাশে উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় একটি ইঞ্জিনে (দুটি ইঞ্জিন থাকে) স্পার্ক দেখতে পান পাইলট।
বিষয়টি টের পেয়ে প্লেনটি জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। এ সময় আকাশে প্রায় দেড় ঘণ্টা চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করেন বিমানটি।
ইঞ্জিনে আগুন লাগার বিষয়ে তিনি বলেন, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে কিছুটা স্পার্ক দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, বার্ড (পাখি) হিটের ঘটনা ঘটতে পারে। তখন পাইলট তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বিমানবন্দরে ফিরে আসেন।
যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এসএম রাগীব সামাদ বলেন, যাত্রীদের প্লেন থেকে অফলোড করা হয়েছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে। যাত্রীরা নিরাপদ আছেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীদের প্লেন থেকে অফলোড করা হয়েছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে এক বক্তব্যে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টিকে৭১৩ ফ্লাইটের ইঞ্জিন-২-এ অপ্রত্যাশিত পাখির ধাক্কার ঘটনায় ঢাকা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। ফ্লাইটের সব যাত্রী, ক্রু নিরাপদে আছেন। যেহেতু বিমানটি মেরামতের প্রয়োজন, তাই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগবে। যাত্রীদের আরাম ও বিশ্রামের জন্য নিকটবর্তী হোটেলগুলোতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিমানটিতে ১৯ জন ছিলেন বিজনেস শ্রেণির যাত্রী, ২৫৬ জন ছিলেন ইকোনমিক শ্রেণির যাত্রী, শিশু ছিল পাঁচজন। আর ১১ জন ছিলেন ক্রু।