শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো

- Update Time : ০৩:১০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
- / ৬৫ Time View
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভেনিজুয়েলার গণতন্ত্র কর্মী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় নরওয়ের অসলোতে এই পুরস্কার ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
‘ক্রমবর্ধমান অন্ধকারের মধ্যেও গণতন্ত্রের শিখা জ্বালিয়ে রাখা এক নারী মারিয়া কোরিনা মাচাদো’ এ মন্তব্য করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ল্যাটিন আমেরিকায় সাহসের সবচেয়ে ‘অসাধারণ উদাহরণ’ মারিয়া কোরিনা। তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ ব্যক্তিত্ব।
পুরস্কার ঘোষণার সময় নরওয়ের নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ভেনিজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং দেশটিতে একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরের সংগ্রামে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।
নরওয়ের নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মাচাদো ভেনিজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে রূপান্তরের জন্য যে অক্লান্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্যই তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য।
মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে নিয়ে জর্গেন ওয়াটনে আরও বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের মূলে এটাই নিহিত যে, আমরা ভিন্নমত পোষণ করলেও জনপ্রিয় শাসনের নীতি রক্ষা করার জন্য যৌথ ইচ্ছা থাকবে আমাদের। যখন গণতন্ত্র হুমকির মুখে, তখন এই সাধারণ ভিত্তি রক্ষা করা আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি তুলে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সেখানে গণতান্ত্রিক কাজ করা বিপজ্জনক।’
তিনি বলেন, ‘মারিয়া কোরিনা ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে ‘বুলেটের পরিবর্তে ব্যালটের পছন্দে’ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার জন্য তিনি বছরের পর বছর কাজ করেছেন।’
শান্তি পুরস্কারকে নোবেলের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে দেখা হয়। ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এটি জিতেছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই নোবেল পান। তার পর থেকে আর কেউ তার চেয়ে কম বয়সে নোবেল পায়নি। অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে বয়সে প্রবীণতায় জোসেফ রটব্লাট নোবেল পান। এখন পর্যন্ত মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠান নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্মান পেয়েছে। গত বছর জাপানের সংগঠন নিহন হিদানকিওকে পুরস্কৃত করা হয়; তারা পারমাণবিক বোমা হামলার বেঁচে থাকা মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবীর জন্য কাজ করে আসছে।
গতকাল ট্রাম্প ওবামা সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘ওবামা নোবেল পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি জানতেন না কেন। ওবামা আমাদের দেশ ধ্বংস করেছে।’ ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি আটটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন এবং সে কারণে নোবেল পাওয়ার দাবি রয়েছে— তবে নোবেল কমিটির ফলাফলে তার সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।
এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ২৪৪ ব্যক্তি এবং ৯৪টি সংস্থা ছিল। ট্রাম্প ছাড়াও অন্য সম্ভাব্যদের মধ্যে ছিল সুদানের ইমারজেন্সি রেসপন্স রুমস এবং কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস, যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করে আসছে।
প্রতিটি নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। বিজয়ীরা পাচ্ছেন একটি সোনার পদক ও ডিপ্লোমা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়