শহিদুল আলম দেশে ফিরছেন শনিবার ভোরে

- Update Time : ০৯:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
- / ৮১ Time View
ফিলিস্তিন সংহতি অভিযানে যোগ দিয়ে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হওয়ার পর মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোরে দেশে ফিরছেন।
শহিদুল আলম এদিন ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য জানান।
আবুল কালাম বলেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে শহিদুল আলম টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে ইসরায়েল থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান। যেখানে তাকে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্বাগত জানান।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আমানুর রহমান জানিয়েছেন, শহিদুল আলমের ঢাকাগামী ফ্লাইটটি শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ইস্তাম্বুল থেকে ছাড়ার কথা রয়েছে।
শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ শহিদুল আলমকে আটক করার পরপরই জর্ডান, মিসর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মুক্তির জন্য তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
গাজায় ইসরায়েলের আরোপ করা অবরোধ ভাঙতে সমুদ্রপথে যাত্রা করা ‘গ্লোবাল সুমুদ মিডিয়া ফ্লোটিলা’য় অংশ নেন শহিদুল আলম। তিনি ‘কনশান্স’ নামের এক জাহাজে ছিলেন। জাহাজ থেকে তিনি ২ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘আমরা অবরোধ ভাঙবো। আপনাদের উপস্থিতি ও সংহতির মূল্য হয়তো আপনারা নিজেরাও পুরোটা উপলব্ধি করতে পারছেন না। ফিলিস্তিন অবশ্যই মুক্ত হবে।’
শহিদুল আলমের এ সাহসী উদ্যোগের জন্য অনেকে অভিনন্দন জানান। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৪ অক্টোবর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শহিদুল আলম এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন একই সাহস, দৃঢ়তা ও অবিচল মানসিকতা নিয়ে- যে মানসিকতা তিনি ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে ১০৭ দিন কারাভোগের মধ্যেও দেখিয়েছিলেন। তিনি আজ বাংলাদেশের অদম্য চেতনার এক উজ্জ্বল প্রতীক।’
বিবৃতির শেষে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা শহিদুল আলমের পাশে আছি, আমরা গাজার পাশে আছি- এখন এবং চিরকাল।’
একই দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমের অংশগ্রহণ শুধু সংহতির প্রকাশ নয়, এটি ন্যায়ের পক্ষে বিবেকের শক্তিশালী উচ্চারণ। বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরে তিনি প্রমাণ করেছেন, এই জাতি কখনো নিপীড়ন ও অবিচারের কাছে মাথা নত করেনি এবং করবে না।
গত বুধবার (৮ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত হওয়ার কথা জানান শহিদুল আলম। ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী এবং লেখক। আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় যারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।’
পরে ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা শুরু করে সরকার। শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়টি জানানো হয়।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়