ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বর্তমান সময়ে সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা কল্পনাও করা যায় না – জামায়াত আমির ৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয়

লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী হালা বটের তল

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:২৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৭৫ Time View

লালমনিরহাট পৌরসভাধীন উত্তর সাপটানা মৌজায় অবস্থিত ‘হালা বটের তল’। প্রধান বট গাছটির সাথে আরও তিনটি গাছ যুক্ত রয়েছে- পাইকর, আম ও বকুল গাছ।

বটগাছটির বয়স ১৫০বছরের উর্দ্ধে। গাছের নিচের ঈদের মাঠটি আরও পুরানো। পাকিস্তান আমলে ১৯৫১/৫২ খ্রিস্টাব্দে স্থানীয় খতি ফকির জৌনপুরের জনৈক পীর সাহেবকে এনেছিলেন ওয়াজ করার জন্য। পীর সাহেব এ গাছের নিচে বসে ওয়াজ করেছিলেন। আগত লোকজনের ওজু করার জন্য মাঠের পার্শ্বে একটি মাটিয়া কুয়া খনন করা হয়েছিল কিন্তু কুয়ার পানির অপর্যাপ্ততার কারণে ওজু করার সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে পীর সাহেব এক বদনা পানি নিয়ে তাতে দম করে কুয়ায় ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে ওজুর পানির অভাব হয়নি।

আবার ওয়াজ শেষে খিচুরী বিতরণের সময় তাও কম হওয়ার আশংকা দেখা দিলে পীর সাহেব খিচুরীর হাড়িতে দম করে হাড়ির মুখে ঢাকনা দেন। পরে তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকানা একটু সরিয়ে খিচুরী বিতরণ শুরু করা হয়। ঐ হাড়ির খিচুরী আগত লোকজনের মাঝে বিতরণ শেষে পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রামের লোকজন যারা যারা ওয়াজ শুনতে আসেনি তাদের জন্যও পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব হয়।

পীর সাহেব ওয়াজ করে চলে যান কিন্তু ওয়াজ করার মাঠটি এলাকার লোকজনের কাছে পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হতে থাকে সাথে সাথে পীর সাহেবকে ছায়াদানকারী বট গাছটির প্রতিও বিশেষ সম্মান দেখানো শুরু হয়। দু’একজন এখানে এসে মানত করে সুফল পাওয়ার পর থেকে এখনও প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন স্থান থেকে অগণিত লোকজনকে মানতের উদ্দেশ্যে এখানে আসতে দেখা যায়। বর্তমানে সেখানে একটি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী হালা বটের তল

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:২৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

লালমনিরহাট পৌরসভাধীন উত্তর সাপটানা মৌজায় অবস্থিত ‘হালা বটের তল’। প্রধান বট গাছটির সাথে আরও তিনটি গাছ যুক্ত রয়েছে- পাইকর, আম ও বকুল গাছ।

বটগাছটির বয়স ১৫০বছরের উর্দ্ধে। গাছের নিচের ঈদের মাঠটি আরও পুরানো। পাকিস্তান আমলে ১৯৫১/৫২ খ্রিস্টাব্দে স্থানীয় খতি ফকির জৌনপুরের জনৈক পীর সাহেবকে এনেছিলেন ওয়াজ করার জন্য। পীর সাহেব এ গাছের নিচে বসে ওয়াজ করেছিলেন। আগত লোকজনের ওজু করার জন্য মাঠের পার্শ্বে একটি মাটিয়া কুয়া খনন করা হয়েছিল কিন্তু কুয়ার পানির অপর্যাপ্ততার কারণে ওজু করার সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে পীর সাহেব এক বদনা পানি নিয়ে তাতে দম করে কুয়ায় ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে ওজুর পানির অভাব হয়নি।

আবার ওয়াজ শেষে খিচুরী বিতরণের সময় তাও কম হওয়ার আশংকা দেখা দিলে পীর সাহেব খিচুরীর হাড়িতে দম করে হাড়ির মুখে ঢাকনা দেন। পরে তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকানা একটু সরিয়ে খিচুরী বিতরণ শুরু করা হয়। ঐ হাড়ির খিচুরী আগত লোকজনের মাঝে বিতরণ শেষে পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রামের লোকজন যারা যারা ওয়াজ শুনতে আসেনি তাদের জন্যও পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব হয়।

পীর সাহেব ওয়াজ করে চলে যান কিন্তু ওয়াজ করার মাঠটি এলাকার লোকজনের কাছে পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হতে থাকে সাথে সাথে পীর সাহেবকে ছায়াদানকারী বট গাছটির প্রতিও বিশেষ সম্মান দেখানো শুরু হয়। দু’একজন এখানে এসে মানত করে সুফল পাওয়ার পর থেকে এখনও প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন স্থান থেকে অগণিত লোকজনকে মানতের উদ্দেশ্যে এখানে আসতে দেখা যায়। বর্তমানে সেখানে একটি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে।