লালপুরে এবার পূজা মন্ডব বেড়েছে, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

- Update Time : ১১:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩৪১২ Time View
লালপুরের গোপালপুর পৌরসভায় ১টি পূজা মন্ডপ বেড়ে ৪১ মন্ডপে চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূজা।
সারাদেশের মতো নাটোরের লালপুরেও চলছে দেবী দূর্গাকে বরণের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। পূজা উদযাপন নির্বিঘ্নে করতে ইতিমধ্যেই উপজেলা পূজা উদযাপন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিটিং করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই উপজেলার সকল মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কাজও চলছে জোরেশোরে, শেষ মুহূর্তে রং-তুলির আঁচড়ে প্রতিমা শিল্পীরা অতিযত্নে দূর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, লক্ষ্মী, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি সাজাচ্ছেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে প্রতিমাগুলো হয়ে উঠছে প্রাণবন্ত। পাশাপাশি মণ্ডপের বিভিন্ন আলোকসজ্জা আর প্যান্ডেল তৈরিতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেকোরেটরের লোকজন।
উপজেলা প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এবার লালপুর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ৪১টি মন্দিরে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। গতবছর যার সংখ্যা ছিল ৪০টি। জানা গেছে এবছর গোপালপুর পৌরসভায় ১টি মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে । পূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রতিটি মন্দিরে ৫০০ কেজি করে সরকারি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ লালপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার কর্মকার বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসরণ করে কোনরকম সমস্যাবিহীন পূজা উদযাপনের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে, এ বছর উপজেলায় ৪১টি মন্দিরে দূর্গাপূজা উদযাপিত হবে। এবং প্রতিটি মন্দির সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আশা করি প্রতিবারের মতো এবারও আমরা সুষ্ঠ সুন্দরভাবে বিজয়া দশমী শেষ করবো। তিনি আরও বলেন, এবছর দেবী দূর্গার আগমন গজে, আর ফিরবেন দোলায়।
প্রতিমাশিল্পী শ্রী ঐচীনি হলদার বলেন, প্রতিমা তৈরিতে বিভিন্ন ব্যায় বাড়লেও সে হারে মজুরি বাড়েনি। ধরণ অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে খরচ হয় ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। প্রতিমা তৈরিতে এঁটেল ও বেলে মাটি ছাড়াও বাঁশ-খড়, ধানের কুঁড়া, দড়ি, লোহা, পাট, কাঠ, রঙ, বিভিন্ন রঙের সিট ও শাড়ি-কাপড়ের প্রয়োজন হয়। সারা বছর অপেক্ষার পর এ সময় ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
এদিকে পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় ৩৭টি মন্দিরে দুইজন করে ও গুরুত্বপূর্ণ ৪টি মন্দিরে চারজন করে আনসার মোতায়েন করা হয়েছে এবং আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতায় প্রতিটি মন্দিরে চারজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা আনসার মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোছা: আরজু খাতুন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি মন্দিরের নিরাপত্তায় লালপুর থানা পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের জন্য প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে, সব মিলিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা উদযাপনের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়