র্যাব পুনর্গঠন ও পুলিশের অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

- Update Time : ০৯:৫৭:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
- / ৩৬ Time View
এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, র্যাবকে পুনর্গঠন করতে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী র্যাবের পুনর্গঠন কীভাবে হবে, যে নাম আছে সেটিই থাকবে কিনা, ইউনিফর্ম যা আছে তা বা একই ফোর্স থাকবে কিনা এবং বাহিনী কীভাবে সংগঠিত হবে সেজন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে পাঁচ থেকে ছয় সদস্যের সমন্বয়ে এ কমিটি করা হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কয়েকটি বাহিনীর প্রধানদেরও এ কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সদস্য নিতে পারবে কমিটি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর নেতৃত্বেও আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। তাদের কাছে বর্তমানে যেসব অস্ত্র আছে, সেগুলো নিয়ে নেওয়া হবে বা তাদের জমা দিতে হবে। তবে, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত দল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে মারণাস্ত্র থাকবে। এ বাহিনীর কাজ কিন্তু অন্য পুলিশ থেকে একটু আলাদা। সেজন্য তাদের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনভাতা ঈদুল আজহার আগে পরিশোধ করতে হবে বলে সংশ্লিষ্টদের মনে করিয়ে দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, যারা বেতন পাওয়ার যোগ্য তাদের বেতন দিতে হবে। যেসব শ্রমিক তাদের অবৈধ দাবি নিয়ে রাস্তায় হাঁটে, তাদের সেটা করতে দেব না। শ্রমিকদের বৈধ দাবি অবশ্যই মালিকদের পূরণ করতে হবে। অবৈধ দাবি কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের গরুর হাটে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে সাধারণ মানুষ। সে জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি. হাট কমিটি স্বেচ্ছাসেবক রাখে শুধু হাসিলের টাকা দিয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য; আমরা এবার বলেছি, প্রতি হাটে ১০০ আনসার সদস্য রাখতে হবে। তারা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেবে। একই সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে ঈদে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়িতে যেতে পারেন। রাস্তায় যেন কোনো রকমের চাঁদাবাজি না হয়। গোয়েন্দা সংস্থাকে বলে দেওয়া হয়েছে, কোথাও যদি কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হয় তারা ব্যবস্থা নেবে।