ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
উত্তরা মন্দিরে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের পরিদর্শন জুডিসিয়াল সার্ভিস পে-কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনের সেকেন্ড ইন কমান্ড পাভেল মোল্লার দৌরাত্ম্যে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ সাকিবকে নিয়ে ভিপি সাদিকের স্ট্যাটাস মধ্যরাতে সাকিবের রহস্যময় পোস্ট জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট বাংলাদেশসহ ৭৭ দেশের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু, মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগনের আস্থা অর্জন করা যায় – মনোয়ারা বেগম সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ রিমান্ডে টেকসই পর্যটনের জন্য প্রকৃতি রক্ষা অপরিহার্য – পরিবেশ উপদেষ্টা

রোহিঙ্গাদের কারণে দেশে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নওরোজ জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৯৫ Time View

রোহিঙ্গা বাস্তচ্যুত যারা বাংলাদেশে এসেছে তাদের কারণে নানান ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে নিরাপত্তা সমস্যা, পরিবেশ সমস্যা তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো উগ্রবাদের সূতিকাগার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসী দলগুলো সেখান থেকে রিক্রুট করার চেষ্ঠা করে এবং অনেক ক্ষেত্রে হচ্ছে। সুতরাং এখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ একটি জনবহুল দেশ। আমরা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা বাস্তচ্যুতদের কারণে ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। মানবিকতার কারণে তখন আমরা রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি যে মিয়ানমারে পরিস্থিতি উত্তরণের মাধ্যমে এই সমাধান করা সম্ভব।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন হচ্ছে একমাত্র সমাধান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, রাখাইন প্রদেশে, সেটি আজ থেকে নয়। বেশ কিছুদিন ধরে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা সেখানে অনেক আগে থেকেই সদা অ্যালার্ট আছে এবং সেখানে কিছুদিন পরপর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি নেতিবাচক প্রভাব আছে। তবে আমরা সবসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যদি মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।

শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস গাজায় সংঘটিত গণহত্যা বিষয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে এবং এটিকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিজে গতকাল রায় দিয়েছে এবং এই রায়কে স্বাগত জানাই। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলকে ইতিপূর্বে সমর্থন জানিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই রায় ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে– যেটি আইসিজের রায়ে বলা হয়েছে এবং গণহত্যা বন্ধের কথা বলা হয়েছে। আমি মনে করি এই রায়ে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

ভবিষ্যতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যদি আরও সমর্থন যোগাতে হয়, বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

রোহিঙ্গাদের কারণে দেশে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নওরোজ জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০৭:২৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

রোহিঙ্গা বাস্তচ্যুত যারা বাংলাদেশে এসেছে তাদের কারণে নানান ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে নিরাপত্তা সমস্যা, পরিবেশ সমস্যা তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো উগ্রবাদের সূতিকাগার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসী দলগুলো সেখান থেকে রিক্রুট করার চেষ্ঠা করে এবং অনেক ক্ষেত্রে হচ্ছে। সুতরাং এখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ একটি জনবহুল দেশ। আমরা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা বাস্তচ্যুতদের কারণে ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। মানবিকতার কারণে তখন আমরা রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি যে মিয়ানমারে পরিস্থিতি উত্তরণের মাধ্যমে এই সমাধান করা সম্ভব।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন হচ্ছে একমাত্র সমাধান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, রাখাইন প্রদেশে, সেটি আজ থেকে নয়। বেশ কিছুদিন ধরে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা সেখানে অনেক আগে থেকেই সদা অ্যালার্ট আছে এবং সেখানে কিছুদিন পরপর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি নেতিবাচক প্রভাব আছে। তবে আমরা সবসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যদি মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।

শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস গাজায় সংঘটিত গণহত্যা বিষয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে এবং এটিকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিজে গতকাল রায় দিয়েছে এবং এই রায়কে স্বাগত জানাই। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলকে ইতিপূর্বে সমর্থন জানিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই রায় ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে– যেটি আইসিজের রায়ে বলা হয়েছে এবং গণহত্যা বন্ধের কথা বলা হয়েছে। আমি মনে করি এই রায়ে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

ভবিষ্যতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যদি আরও সমর্থন যোগাতে হয়, বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।