সাংবাদিকদের উপরও হামলা
রূপগঞ্জে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক ৪০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত

- Update Time : ০৫:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
- / ৯৪ Time View
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ক্লাসে পাঠ বুঝতে না পারায় শিক্ষক পরিবর্তনের আবেদন করায় সপ্তম শ্রেণির প্রায় ৪০ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত ৩ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনায় অভিভাবকদের অভিযোগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে খোঁজ নিতে গেলে শিক্ষকদের উস্কানিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হয় অন্তত তিনজন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চুর প্রভাব খাটিয়ে ৫ আগস্টের পর তার ভাগনে তানভীর হোসেন মুন্নাকে অফিস সহকারী হিসেবে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু মুন্না সাম্প্রতিক সময়ে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস নিতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা তার পাঠ স্পষ্টভাবে বুঝতে না পেরে প্রধান শিক্ষকের কাছে তাকে পরিবর্তনের আবেদন করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্না ক্লাসে উপস্থিত প্রায় ৪০ শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। ওই মারধোরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তাসরিম, কেয়া তাবাসসুমসহ কয়েকজন।
মঙ্গলবার সকালে আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দাবি করেন। খবর পেয়ে ছুটে যান গণমাধ্যমকর্মীরা। এসময় শিক্ষরা সাধারন শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
অভিযোগ করা হয়, বিএনপি নেতা বাচ্চুর নির্দেশেই শিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কানি দেয়া হয়েছে। এসময় ছাত্ররা লাঠিসোটা হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের উপর ঝাপিয়ে পরে। এতে রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার রাকিবুল ইসলাম, একাত্তর টিভির ভিডিও জার্নালিষ্ট হাফিজুর রহমান, অভিভাবক ওমেদ আলী,যমুনা টিভির প্রতিনিধির গাড়ি চালক ইকবার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবায়দুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের উপর কেন শিক্ষক উত্তেজিত হয়েছেন, বুঝতে পারছি না। তাছাড়া সাংবাদিকদের উপর কেন শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে আমরা আভ্যন্তরিকভাবে তদন্ত করবো। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে, তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।”
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক তানভীর হোসেন মুন্না পলাতক রয়েছেন। অভিভাবকরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।