রিশাদের ঘূর্ণিতে নাকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বড় জয় পেল বাংলাদেশ

- Update Time : ০৯:২৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ৭৩ Time View
বাংলাদেশের প্রথম স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিলেন রিশাদ হোসেন। তার ঘূর্ণিতে বড় জয় পেল বাংলাদেশ। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট হয় তারা।
২০৮ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে বাংলাদেশের স্পিনারদের কাছেই নাকাল হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। দলটির ওপেনাররা ৫১ রান তুলে ফেললেন এরপর আসা–যাওয়ার মাঝেই ছিলেন অন্যরা। ১২তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে এসে শেষ বলে অ্যালিক অ্যাথানেজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন রিশাত হোসেন। এই লেগ স্পিনার প্রথম স্পেলে নিয়েছেন আরও ৪ উইকেট। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯ ওভারে মাত্র ১৩৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
দেশের প্রথম ডানহাতি স্পিনার হিসেবে ওয়ানেডেতে ৫ উইকেট নেওয়া রিশাদ পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে গড়েছেন আরও বড় রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম স্পিনার হিসেবেই ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। বাংলাদেশের মাটিতেও কোনো স্পিনারের সেরা বোলিং এটি। ৯ ওভারে ৩৫ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার করেন রিশাদ।
অসাধারণ বোলিংয়ে দুটি রেকর্ডের মালিকও হলেন তিনি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম ডানহাতি স্পিনার হিসেবে নিলেন ৫ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট। আগের সেরা ছিল রাজিন সালেহর। তিনি হারারেতে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন ১৬ রানে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে কোনো ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়লেন রিশাদ। এই সংস্করণে সব মিলিয়ে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে ৬ উইকেট পেলেন ২৩ বছর বয়সী রিশাদ। ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং নৈপুণ্যের তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা (কেনিয়ার বিপক্ষে নাইরোবিতে ২০০৬ সালে) ও রুবেল হোসেন (নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরেই ২০১৩ সালে)। মোস্তাফিজুর রহমানও ভারতের বিপক্ষে ২০১৫ সালে ৪৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই মাঠে।
বল হাতে জ্বলে ওঠার আগে ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন রিশাদ। ১৩ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় করেন ২৬ রান। ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন উইকেটে তাওহিদ হৃদয় (৯০ বলে ৫১), অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৭৬ বলে ৪৬) ও নাজমুল হোসেন শান্তির (৬৩ বলে ৩২) দায়িত্বশীল ইনিংস সত্ত্বেও দুইশর নিচে থামার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ।