ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ায় ৪৯ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, সবাই নিহতের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:১১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • / ৬৩ Time View

রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৪৯ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য বহনকারী একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি চীন সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের টিন্ডা শহরের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে; তবে এখনও কোনো বেঁচে থাকা ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ৪৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ যাত্রীবাহী বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেশটির আমুর অঞ্চলে পাওয়া গেছে। সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

উদ্ধারকর্মীরা জ্বলন্ত অবস্থায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন বলে জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদসংস্থাগুলো বলছে, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।

রাশিয়ার আঞ্চলিক বেসামরিক প্রতিরক্ষা এবং ফায়ার সেইফটি সেন্টার সংবাদসংস্থা তাসকে বলেছে, আকাশপথে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় জীবিত কোনও ব্যক্তিকে দেখা যায়নি।

এর আগে রুশ স্থানীয় জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা নামে বিমানসংস্থা দ্বারা পরিচালিত অ্যান-২৪ মডেলের যাত্রীবাহী বিমানটি চীন সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের টিন্ডা শহরে দিকে যাওয়ার সময় রাডার স্ক্রিন থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

ইন্টারফ্যাক্স বলছে, রাশিয়ান উদ্ধারকর্মীরা বিমানের মূল অংশ জলন্ত অবস্থা খুঁজে পেয়েছে। এবং বিমানের ধ্বংসাবশেষ আমুর অঞ্চলে মিলেছে।

আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাসিলি ওরলোভ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী বিমানটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া এতে ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন।

আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ টেলিগ্রামে জানান, ‘সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্ধার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’

রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় প্রথমে যাত্রীসংখ্যা ৪০ বললেও পরে তা সংশোধন করা হয়। রাশিয়ার স্থানীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে গহীন বনে ধোঁয়া ও আগুন দেখা গেছে, যা সম্ভাব্য বিধ্বস্ত স্থান নির্দেশ করে।

‘অ্যান্টোনভ-২৪’ হলো একটি সোভিয়েত-যুগের টার্বোপ্রপ বিমান, যা ১৯৬০-৭০-এর দশকে তৈরি হয়েছিল। রাশিয়া ও কিছু প্রাক্তন সোভিয়েত দেশে এখনও কিছু পুরনো বিমান চলাচল করছে, যদিও অনেকগুলোই নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চলে।

গত কয়েক বছরে অ্যাঙ্গারা এয়ারলাইন্সের এই মডেলের বিমান ইঞ্জিন সমস্যা, ল্যান্ডিং গিয়ার ত্রুটি এবং জরুরি অবতরণের ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় বিমানটির পুরনো অবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাশিয়ায় এ ধরনের পুরনো বিমান এখনও ব্যবহার করা হয়, যা প্রায়ই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

Please Share This Post in Your Social Media

রাশিয়ায় ৪৯ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, সবাই নিহতের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৩:১১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৪৯ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য বহনকারী একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি চীন সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের টিন্ডা শহরের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে; তবে এখনও কোনো বেঁচে থাকা ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ৪৯ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ যাত্রীবাহী বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেশটির আমুর অঞ্চলে পাওয়া গেছে। সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

উদ্ধারকর্মীরা জ্বলন্ত অবস্থায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন বলে জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদসংস্থাগুলো বলছে, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।

রাশিয়ার আঞ্চলিক বেসামরিক প্রতিরক্ষা এবং ফায়ার সেইফটি সেন্টার সংবাদসংস্থা তাসকে বলেছে, আকাশপথে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় জীবিত কোনও ব্যক্তিকে দেখা যায়নি।

এর আগে রুশ স্থানীয় জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা নামে বিমানসংস্থা দ্বারা পরিচালিত অ্যান-২৪ মডেলের যাত্রীবাহী বিমানটি চীন সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের টিন্ডা শহরে দিকে যাওয়ার সময় রাডার স্ক্রিন থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

ইন্টারফ্যাক্স বলছে, রাশিয়ান উদ্ধারকর্মীরা বিমানের মূল অংশ জলন্ত অবস্থা খুঁজে পেয়েছে। এবং বিমানের ধ্বংসাবশেষ আমুর অঞ্চলে মিলেছে।

আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাসিলি ওরলোভ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী বিমানটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া এতে ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন।

আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলভ টেলিগ্রামে জানান, ‘সমস্ত প্রয়োজনীয় উদ্ধার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’

রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় প্রথমে যাত্রীসংখ্যা ৪০ বললেও পরে তা সংশোধন করা হয়। রাশিয়ার স্থানীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে গহীন বনে ধোঁয়া ও আগুন দেখা গেছে, যা সম্ভাব্য বিধ্বস্ত স্থান নির্দেশ করে।

‘অ্যান্টোনভ-২৪’ হলো একটি সোভিয়েত-যুগের টার্বোপ্রপ বিমান, যা ১৯৬০-৭০-এর দশকে তৈরি হয়েছিল। রাশিয়া ও কিছু প্রাক্তন সোভিয়েত দেশে এখনও কিছু পুরনো বিমান চলাচল করছে, যদিও অনেকগুলোই নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চলে।

গত কয়েক বছরে অ্যাঙ্গারা এয়ারলাইন্সের এই মডেলের বিমান ইঞ্জিন সমস্যা, ল্যান্ডিং গিয়ার ত্রুটি এবং জরুরি অবতরণের ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় বিমানটির পুরনো অবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাশিয়ায় এ ধরনের পুরনো বিমান এখনও ব্যবহার করা হয়, যা প্রায়ই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।