ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতেই আদালত বসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৮ শিক্ষার্থী কারামুক্ত

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব‌্যু‌রো
  • Update Time : ০৪:৫২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬ Time View

রংপুরে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১০ জন শিক্ষার্থীকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে শুক্রবার রাতে কারামুক্ত হন আট শিক্ষার্থী। বাকি দুই জন আজ (শনিবার) মুক্ত হবেন।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত ১১টায় আদালতের আদেশে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় রংপুরের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) এফ এম আহসানুল হক রানা তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে জামিন শুনানি করা আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, জামিনপ্রাপ্তদের পক্ষে জামিননামার আদেশ রাতেই কারাগারে পৌঁছা‌নোর মাধ‌্যমে ৮ জন শিক্ষার্থী কারাগার থেকে ইতিম‌ধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। আশা করছি বাকি দুজন আজ শনিবার কারামুক্ত হবেন।

জামিনে মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন – এইচএসসি পরীক্ষার্থী নগরীর পুরাতন ট্রাক স্ট্যান্ডের ফারুক মিয়ার ছেলে আমির হামজা আমির, কামাল কাছনা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে তৌফিক ওমর ধ্রুব, বাবুখাঁ এলাকার মঞ্জিল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, আশরতপুরের আব্দুল মালেকের ছেলে পাভেল মিয়া, হারাগাছ থানার নিউ জুম্মাপাড়ার বিটুল মিয়ার ছেলে আল মারজান, বেনুঘাট ময়নাকুঠির হামিদুল ইসলামের ছেলে নিয়াজ আহাম্মেদ রফি, কাউনিয়া থানার বাওয়াটারীর রবিউল ইসলামের ছেলে সৌরভ মিয়া। তাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। এইচএসসি পরীক্ষা এবং বয়স বিবেচনা করে তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।

আমির হামজার বাবা ফারুক বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো ভুল করে থাকে তবে আমি ছেলের হয়ে ক্ষমা চাচ্ছি। সে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে যেন একেবারে মুক্তি দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।’

আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের বাবা মঞ্জিল হোসেন বলেন, ‘সরকারের কাছে দাবি, ছেলেটার নামে যেন আর মামলা-মোকদ্দমা না দেয়। তাকে যেনো হয়রানি না করে। সে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী।’

শিক্ষার্থীদের জা‌মিনের বিষয়ে আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম বুলেট বলেন, ‘রাতে কোর্ট বসে শিক্ষার্থীদের জামিন দিচ্ছেন। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।’

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাপেক্ষে কারাগার থেকে শুক্রবার রাত ১১টার পর আটজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

রাতেই আদালত বসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৮ শিক্ষার্থী কারামুক্ত

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব‌্যু‌রো
Update Time : ০৪:৫২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

রংপুরে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১০ জন শিক্ষার্থীকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে শুক্রবার রাতে কারামুক্ত হন আট শিক্ষার্থী। বাকি দুই জন আজ (শনিবার) মুক্ত হবেন।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত ১১টায় আদালতের আদেশে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় রংপুরের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) এফ এম আহসানুল হক রানা তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে জামিন শুনানি করা আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, জামিনপ্রাপ্তদের পক্ষে জামিননামার আদেশ রাতেই কারাগারে পৌঁছা‌নোর মাধ‌্যমে ৮ জন শিক্ষার্থী কারাগার থেকে ইতিম‌ধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। আশা করছি বাকি দুজন আজ শনিবার কারামুক্ত হবেন।

জামিনে মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন – এইচএসসি পরীক্ষার্থী নগরীর পুরাতন ট্রাক স্ট্যান্ডের ফারুক মিয়ার ছেলে আমির হামজা আমির, কামাল কাছনা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে তৌফিক ওমর ধ্রুব, বাবুখাঁ এলাকার মঞ্জিল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, আশরতপুরের আব্দুল মালেকের ছেলে পাভেল মিয়া, হারাগাছ থানার নিউ জুম্মাপাড়ার বিটুল মিয়ার ছেলে আল মারজান, বেনুঘাট ময়নাকুঠির হামিদুল ইসলামের ছেলে নিয়াজ আহাম্মেদ রফি, কাউনিয়া থানার বাওয়াটারীর রবিউল ইসলামের ছেলে সৌরভ মিয়া। তাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। এইচএসসি পরীক্ষা এবং বয়স বিবেচনা করে তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।

আমির হামজার বাবা ফারুক বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো ভুল করে থাকে তবে আমি ছেলের হয়ে ক্ষমা চাচ্ছি। সে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাকে যেন একেবারে মুক্তি দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ জানাচ্ছি।’

আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের বাবা মঞ্জিল হোসেন বলেন, ‘সরকারের কাছে দাবি, ছেলেটার নামে যেন আর মামলা-মোকদ্দমা না দেয়। তাকে যেনো হয়রানি না করে। সে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী।’

শিক্ষার্থীদের জা‌মিনের বিষয়ে আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম বুলেট বলেন, ‘রাতে কোর্ট বসে শিক্ষার্থীদের জামিন দিচ্ছেন। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।’

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাপেক্ষে কারাগার থেকে শুক্রবার রাত ১১টার পর আটজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।