ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে মুরগির দাম বৃদ্ধি, মাছের বাজার স্থিতিশীল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৪২ Time View

রাজধানীর খুচরা বাজারে আবারও বেড়েছে মুরগির দাম। দেশি মুরগি কেজিতে ৬০০ টাকা, আর ব্রয়লার ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি বেশিরভাগ মাছ আগের দামের কাছাকাছিই বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকায়। দেশি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে।

মুরগি বিক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, “খামারে খাদ্যের দাম বেড়েছে, বাচ্চার দাম বেড়েছে, পরিবহন খরচও অনেক বেশি। পাইকারি বাজার থেকে ১৫০ টাকায় কিনে ১৭০ টাকায় বিক্রি করি, তাতেও লাভ থাকে না।”

আরেক বিক্রেতা রবিউল আলম বলেন, “মুরগির বাজার এখন পুরোপুরি খামারনির্ভর। খাদ্য ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও কিছু করার নেই।”

বাজারে ক্রেতাদের মতে, উচ্চমূল্যের কারণে এখন ব্রয়লারই একমাত্র ভরসা। ক্রেতা মাহমুদুল হাসান বলেন, “দেশি মুরগি এখন নাগালের বাইরে। বাধ্য হয়ে ব্রয়লারই কিনতে হচ্ছে। দামের কোনো নিয়ম নেই, বাজার নিয়ন্ত্রণও নেই।”

এদিকে মাংসের বাজারেও চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস ১,০০০ থেকে ১,১০০ টাকায়।

অন্যদিকে, মাছের বাজারে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। বড় রুই ৩৫০–৪২০ টাকা, মাঝারি রুই ৩০০–৩২০ টাকা এবং কাতল ৩৮০–৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিং মাছ ৫৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, পাঙাশ ১৮০–২৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০–২২০ টাকা, আর বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে।

ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, আর গলদা চিংড়ি ৬৫০–৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

রাজধানীতে মুরগির দাম বৃদ্ধি, মাছের বাজার স্থিতিশীল

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৩:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর খুচরা বাজারে আবারও বেড়েছে মুরগির দাম। দেশি মুরগি কেজিতে ৬০০ টাকা, আর ব্রয়লার ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি বেশিরভাগ মাছ আগের দামের কাছাকাছিই বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকায়। দেশি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে।

মুরগি বিক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, “খামারে খাদ্যের দাম বেড়েছে, বাচ্চার দাম বেড়েছে, পরিবহন খরচও অনেক বেশি। পাইকারি বাজার থেকে ১৫০ টাকায় কিনে ১৭০ টাকায় বিক্রি করি, তাতেও লাভ থাকে না।”

আরেক বিক্রেতা রবিউল আলম বলেন, “মুরগির বাজার এখন পুরোপুরি খামারনির্ভর। খাদ্য ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও কিছু করার নেই।”

বাজারে ক্রেতাদের মতে, উচ্চমূল্যের কারণে এখন ব্রয়লারই একমাত্র ভরসা। ক্রেতা মাহমুদুল হাসান বলেন, “দেশি মুরগি এখন নাগালের বাইরে। বাধ্য হয়ে ব্রয়লারই কিনতে হচ্ছে। দামের কোনো নিয়ম নেই, বাজার নিয়ন্ত্রণও নেই।”

এদিকে মাংসের বাজারেও চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস ১,০০০ থেকে ১,১০০ টাকায়।

অন্যদিকে, মাছের বাজারে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। বড় রুই ৩৫০–৪২০ টাকা, মাঝারি রুই ৩০০–৩২০ টাকা এবং কাতল ৩৮০–৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিং মাছ ৫৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, পাঙাশ ১৮০–২৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০–২২০ টাকা, আর বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে।

ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, আর গলদা চিংড়ি ৬৫০–৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।