ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাকসুতে ভিপি–এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর–সালমান, জিএস সাবেক সমন্বয়ক আম্মার

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১২৯৮ Time View

ভিপি–এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর–সালমান, জিএস সাবেক সমন্বয়ক আম্মার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান ফলাফল ঘোষণা করেন।

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি। একই পদে নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭টি।

এদিকে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭টি। তার নিকটতম শিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। ফাহিম রেজাও সাবেক সমন্বয়ক।

শীর্ষ তিন পদের তৃতীয় পদ এজিএসে (সহ-সাধারণ সম্পাদক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫টি। তার নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ভোট।

বিজয়ী অন্যরা
ক্রীড়া সম্পাদক: নার্গিস খাতুন

সহক্রীড়া সম্পাদক: আবু সাঈদ মুহাম্মদ নুন

সংস্কৃতি সম্পাদক: জায়িদ হাসান জোহা

সহসংস্কৃতি সম্পাদক: মো. রাকিবুল ইসলাম

মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: সাইয়িদা হাফছা

সহমহিলা সম্পাদক: সামিয়া জাহান

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: বি এম নাজমুছ সাকিব

সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: সিফাত আবু সালেহ

মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক: মো. মুজাহিদ ইসলাম

সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক: আসাদুল্লাহ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ তোফা (স্বতন্ত্র)

সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: মুজাহিদুল ইসলাম সাঈম

বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক: ইমরান মিয়া লস্কর

সহবিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক: মো. নয়ন হোসেন

পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

সহপরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক: মাসুমা ইসরাত মুমু

কার্যনির্বাহী সদস্য

মো. দ্বীপ মাহবুব

মোহাম্মদ ইমজিয়াউল হক কামালী

সুজন চন্দ্র

এ বি এম খালেদ

সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি

সালাহউদ্দিন আম্মার

মোস্তাকুর রহমান জাহিদ

ফাহিম রেজা

আকিল বিন তালেব

এস এম সালমান সাব্বির

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেন। দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পরে এর সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী হল দিয়ে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।

নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।

Please Share This Post in Your Social Media

রাকসুতে ভিপি–এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর–সালমান, জিএস সাবেক সমন্বয়ক আম্মার

নিজেস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১০:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান ফলাফল ঘোষণা করেন।

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) জয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি। একই পদে নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭টি।

এদিকে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭টি। তার নিকটতম শিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। ফাহিম রেজাও সাবেক সমন্বয়ক।

শীর্ষ তিন পদের তৃতীয় পদ এজিএসে (সহ-সাধারণ সম্পাদক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫টি। তার নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ভোট।

বিজয়ী অন্যরা
ক্রীড়া সম্পাদক: নার্গিস খাতুন

সহক্রীড়া সম্পাদক: আবু সাঈদ মুহাম্মদ নুন

সংস্কৃতি সম্পাদক: জায়িদ হাসান জোহা

সহসংস্কৃতি সম্পাদক: মো. রাকিবুল ইসলাম

মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: সাইয়িদা হাফছা

সহমহিলা সম্পাদক: সামিয়া জাহান

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: বি এম নাজমুছ সাকিব

সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: সিফাত আবু সালেহ

মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক: মো. মুজাহিদ ইসলাম

সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক: আসাদুল্লাহ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ তোফা (স্বতন্ত্র)

সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: মুজাহিদুল ইসলাম সাঈম

বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক: ইমরান মিয়া লস্কর

সহবিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক: মো. নয়ন হোসেন

পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

সহপরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক: মাসুমা ইসরাত মুমু

কার্যনির্বাহী সদস্য

মো. দ্বীপ মাহবুব

মোহাম্মদ ইমজিয়াউল হক কামালী

সুজন চন্দ্র

এ বি এম খালেদ

সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি

সালাহউদ্দিন আম্মার

মোস্তাকুর রহমান জাহিদ

ফাহিম রেজা

আকিল বিন তালেব

এস এম সালমান সাব্বির

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেন। দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পরে এর সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী হল দিয়ে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।

নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।