ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রসিক কাউন্সিলর রফিকুল আলমের অভিযোগ

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০৯:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
  • / ২৪ Time View

‘আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে নিজে উপস্থিত হয়ে তাকে (মিন্টু) মারডাং থেকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। কিন্তু পরবর্তিতে জাহিদ হাসান মিন্টু ও তার স্ত্রী আজিমা বেগম আমার বিরুদ্ধে রংপুরের কিছু প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিককে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমি মিন্টুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালাম কিন্তু সে উল্টো আমার নামে আজেবাজে তথ্য দিয়ে খবর প্রকাশ করে সমাজে আমাকে হেয় করার পায়তারা করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্য ও বানোয়াট। বরং আমার দ্বারা সমাজে একটি অসঙ্গতিমূলক কাজও হয়নি। আমি মানুষের সুখে দুঃখে আমার সাধ্যমতো পাশে থাকার চেষ্টা করি।’

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নগরীর জিএল রায় রোড¯ কার্যালয়ে ‘সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ জাহিদ হাসান মিন্টু ওরফে বুলেট মিন্টুর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন-২০২৪’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রফিকুল আলম।

লিখিত বক্তব্যে কাউন্সিলর রফিকুল আলম আলম বলেন, ‘গত ২৮ মে মঙ্গলবার কে বা কারা জাহিদ হাসান মিন্টুকে সাতমাথা থেকে ডেকে তাঁতীপাড়া ইস্টার্ন হাউজিংয়ে এনে মারপিট করে। আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থ‌লে নিজে উপস্থিত হয়ে তাকে মারডাং থেকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। অথচ উল্টো সে আমাকে জড়িয়ে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংবাদ পরিবেশন করেছে।

আমি রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এই ওয়ার্ডের উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি বন্ধ ও মাদকের বিস্তার রোধে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাহিদ হাসান মিন্টু ওরফে বুলেট মিন্টু রংপুর শহরে একটি আতঙ্কের নাম। সে শহরের বিভিন্ন স্থা‌নে বিভিন্ন সময়ে রিক্সা, অটো, মটরসাইকেল ও ছাত্র-ছাত্রী আটকিয়ে টাকা-পয়সা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে একাধিকবার। থানায় ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।

মিন্টুর চলাফেরা দেখলেই মানুষ আতংকিত হয়ে পরে। কারণ সে যে কোন মুহুর্তে যে কোন ঘটনা ঘটাতে পারে এই আতংকে মানুষ দিন পার করে।’

রফিকুল আলম বলেন, ‘মানুষ মানসম্মানের ভয়ে কিছু বলতে পারে না। কারণ মিন্টু একজন সন্ত্রাস প্রকৃতির মানুষ। এমনকি সে শহরে বিভিন্নি নতুন বাসাবাড়ি নির্মাণের সময় বাড়ির মালিকের কাছে মোটা অংকের চাঁদার দাবি করে। বাড়ির মালিক চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে তাকে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়, এমনকি ঠিকাদারের ওপর হামলা করে। এনিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সে বিভিন্ন সময় মোবাইল ছিনতাই করে থাকে।’

এসময় তিনি বলেন, আমার কাজে যতো বাধা আসুক না কেন আমি জনগণকে সাথে নিয়ে নিরলস ভাবে তাদের সেবা করে যাবো। আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা নিয়ে শক্ত হাতে আমার ওয়ার্ড থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক নির্মমু‌লের জন্য সব সময় কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন সময়ে জাহিদ হাসান মিন্টু ওরফে বুলেট মিন্টুর হামলা, ভয়ভীতি, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শিকার হয়েছেন এমন ভুক্তভোগী রাশেদ, শফিকুল, আশরাফুল, জাবেদ মিয়া, হানিফ, নিমাই মহন্ত, আব্দুস সোবাহান, ফরহাদ ইসলাম রকিসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজেদের ভুক্তভোগী দাবি করে মিন্টুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে জাহিদ হাসান মিন্টু ওরফে বুলেট মিন্টুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

রসিক কাউন্সিলর রফিকুল আলমের অভিযোগ

Update Time : ০৯:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

‘আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে নিজে উপস্থিত হয়ে তাকে (মিন্টু) মারডাং থেকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। কিন্তু পরবর্তিতে জাহিদ হাসান মিন্টু ও তার স্ত্রী আজিমা বেগম আমার বিরুদ্ধে রংপুরের কিছু প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিককে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমি মিন্টুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালাম কিন্তু সে উল্টো আমার নামে আজেবাজে তথ্য দিয়ে খবর প্রকাশ করে সমাজে আমাকে হেয় করার পায়তারা করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্য ও বানোয়াট। বরং আমার দ্বারা সমাজে একটি অসঙ্গতিমূলক কাজও হয়নি। আমি মানুষের সুখে দুঃখে আমার সাধ্যমতো পাশে থাকার চেষ্টা করি।’

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নগরীর জিএল রায় রোড¯ কার্যালয়ে ‘সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ জাহিদ হাসান মিন্টু ওরফে বুলেট মিন্টুর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন-২০২৪’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রফিকুল আলম।

লিখিত বক্তব্যে কাউন্সিলর রফিকুল আলম আলম বলেন, ‘গত ২৮ মে মঙ্গলবার কে বা কারা জাহিদ হাসান মিন্টুকে সাতমাথা থেকে ডেকে তাঁতীপাড়া ইস্টার্ন হাউজিংয়ে এনে মারপিট করে। আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থ‌লে নিজে উপস্থিত হয়ে তাকে মারডাং থেকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। অথচ উল্টো সে আমাকে জড়িয়ে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংবাদ পরিবেশন করেছে।

আমি রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এই ওয়ার্ডের উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি বন্ধ ও মাদকের বিস্তার রোধে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাহিদ হাসান মিন্টু ওরফে বুলেট মিন্টু রংপুর শহরে একটি আতঙ্কের নাম। সে শহরের বিভিন্ন স্থা‌নে বিভিন্ন সময়ে রিক্সা, অটো, মটরসাইকেল ও ছাত্র-ছাত্রী আটকিয়ে টাকা-পয়সা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে একাধিকবার। থানায় ছিনতাই ও মারামারি সংক্রান্ত একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।

মিন্টুর চলাফেরা দেখলেই মানুষ আতংকিত হয়ে পরে। কারণ সে যে কোন মুহুর্তে যে কোন ঘটনা ঘটাতে পারে এই আতংকে মানুষ দিন পার করে।’

রফিকুল আলম বলেন, ‘মানুষ মানসম্মানের ভয়ে কিছু বলতে পারে না। কারণ মিন্টু একজন সন্ত্রাস প্রকৃতির মানুষ। এমনকি সে শহরে বিভিন্নি নতুন বাসাবাড়ি নির্মাণের সময় বাড়ির মালিকের কাছে মোটা অংকের চাঁদার দাবি করে। বাড়ির মালিক চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে তাকে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়, এমনকি ঠিকাদারের ওপর হামলা করে। এনিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সে বিভিন্ন সময় মোবাইল ছিনতাই করে থাকে।’

এসময় তিনি বলেন, আমার কাজে যতো বাধা আসুক না কেন আমি জনগণকে সাথে নিয়ে নিরলস ভাবে তাদের সেবা করে যাবো। আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা নিয়ে শক্ত হাতে আমার ওয়ার্ড থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক নির্মমু‌লের জন্য সব সময় কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন সময়ে জাহিদ হাসান মিন্টু ওরফে বুলেট মিন্টুর হামলা, ভয়ভীতি, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শিকার হয়েছেন এমন ভুক্তভোগী রাশেদ, শফিকুল, আশরাফুল, জাবেদ মিয়া, হানিফ, নিমাই মহন্ত, আব্দুস সোবাহান, ফরহাদ ইসলাম রকিসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজেদের ভুক্তভোগী দাবি করে মিন্টুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে জাহিদ হাসান মিন্টু ওরফে বুলেট মিন্টুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।