ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • / ৪৬ Time View

প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতা ও কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা সহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন ও স্বরাষ্ট্র  উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদের রংপুর জেলা ও মহানগর শাখা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচারীবাজারস্থ ডাকবিভাগের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

এসময় বক্তারা বলেন, হয়রানিমূলক মামলা থেকে তদন্তের মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তিদেরকে অব্যাহতি দেয়া ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান। সেই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী সাব্যস্ত  না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে মামলায় আসামী হিসেবে এজাহারভূক্ত ও গ্রেফতার করা যাবে না বলে আহবান জানান।

সেখানে বাম গণতান্ত্রিক জোট রংপুরের সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহাদত হোসেন, বাসদ রংপুরের আহবায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, জাসদ রংপুর জেলার সভাপতি শাহীনুর রহমান বাদল, বাংলাদেশ জাসদ মহানগর সভাপতি গৌতম রায়, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ,  বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, রংপুরের সদস্য সচিব আব্দুল মমিন, মার্কসবাদী সদস্য সচিব আহসানুল আরেফিন তিতু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক কাফি সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপি সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশব্যাপী সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন। এই আন্দোলনের পেছনে ছিল ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান এবং শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের সংগ্রাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সারাদেশে নিরপরাধ ও সম্মানিত নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সেই ধারাবাহিকতায় মহানগর তাজহাট থানায় দায়েরকৃত একটি হয়রানিমূলক মামলায় কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি রংপুরের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো: আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা আসামী করা হয়েছে। যার মামলা নং জি.আর. নম্বর ৯৩/২০২৫, মামলা নম্বর ১৪। সেই মামলায় তাকে ১৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

অথচ ওয়াহেদ মিঞা একজন নির্ভরযোগ্য দেশপ্রেমিক ও সম্মানিত নাগরিক। যিনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন , রেন্টাল-কুইক রেন্টাল প্রকল্পসহ নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলনে নির্ভীকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের নৈতিক সহায়তাও প্রদান করেছেন। তারপরও একটি স্বার্থনেষী মহলের যোগসাজসে  উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতা ও কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা সহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আইন ও স্বরাষ্ট্র  উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদের রংপুর জেলা ও মহানগর শাখা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাচারীবাজারস্থ ডাকবিভাগের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

এসময় বক্তারা বলেন, হয়রানিমূলক মামলা থেকে তদন্তের মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তিদেরকে অব্যাহতি দেয়া ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান। সেই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী সাব্যস্ত  না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে মামলায় আসামী হিসেবে এজাহারভূক্ত ও গ্রেফতার করা যাবে না বলে আহবান জানান।

সেখানে বাম গণতান্ত্রিক জোট রংপুরের সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহাদত হোসেন, বাসদ রংপুরের আহবায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, জাসদ রংপুর জেলার সভাপতি শাহীনুর রহমান বাদল, বাংলাদেশ জাসদ মহানগর সভাপতি গৌতম রায়, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ,  বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, রংপুরের সদস্য সচিব আব্দুল মমিন, মার্কসবাদী সদস্য সচিব আহসানুল আরেফিন তিতু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক কাফি সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপি সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশব্যাপী সংঘটিত ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন। এই আন্দোলনের পেছনে ছিল ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান এবং শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের সংগ্রাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সারাদেশে নিরপরাধ ও সম্মানিত নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সেই ধারাবাহিকতায় মহানগর তাজহাট থানায় দায়েরকৃত একটি হয়রানিমূলক মামলায় কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি রংপুরের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো: আব্দুল ওয়াহেদ মিঞা আসামী করা হয়েছে। যার মামলা নং জি.আর. নম্বর ৯৩/২০২৫, মামলা নম্বর ১৪। সেই মামলায় তাকে ১৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

অথচ ওয়াহেদ মিঞা একজন নির্ভরযোগ্য দেশপ্রেমিক ও সম্মানিত নাগরিক। যিনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন , রেন্টাল-কুইক রেন্টাল প্রকল্পসহ নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলনে নির্ভীকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের নৈতিক সহায়তাও প্রদান করেছেন। তারপরও একটি স্বার্থনেষী মহলের যোগসাজসে  উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।