ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আবু সাঈদ-তাহির-মেরাজ হত্যায় ৩ মামলা

রংপুরে শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ আসামি ৪১৩

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর
  • Update Time : ০৬:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬ Time View

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, আব্দুল্লাহ আল তাহির ও ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত রয়েছে আরও ৩৩৫ আসামি।

রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এসব মামলা দায়ের করেন। আদালত শুনানি শেষে বিচারকরা সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত তাজহাট জানা গেছে, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার ও সাবেক ডিআইজিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে।

মামলার আবেদনে আসামি করা হয়েছে তৎকালীন পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, থানার ওসি রবিউল ইসলাম, পুলিশের এএসআই সৈয়দ আমীর আলী, সুজন চন্দ্র রায়।

এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামিম মাহফুজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডল, গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান রাসেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ, বেরোবি ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী সাংবাদিকদের বলেন, নানা কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে। আমরা এই হত্যা মামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

অন্যদিকে আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির (২৮) হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নিহতের বাবা মোঃ আব্দুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি (বাধ্যতামূলক অবসর) আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বাধ্যতামূলক অবসর) মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উত্তম কুমার পাল, এডিসি (ক্রাইম) উৎপল কুমার রায়, এডিসি (ডিবি) মোঃ নুর ইসলাম পাটোয়ারী, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাসির বিল্লাহ।

এছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবলু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হক প্রমানিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, সাবেক সদস্য সদস্য (সংরক্ষিত) নাছিমা জামান ববি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল আলম, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা, ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান, ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কানা হারুন, ২৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী, জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষ্মীণ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদকসম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা যুবলীগ নেতা ডিজেল আহমেদ, ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সনু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী মোঃ মানিক, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাহানুর ইসলাম সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তানিম আহসান চপল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আসিফ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী মোঃ মামুন। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০-৩০০ জনকে।

রংপুরের কোতয়ালী মেট্রো থানার কগনিজেন্স আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রংপুর মহানগর সিটি বাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন আব্দুল্লাহ আল তাহির। সে ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ গ্লাস এন্ড সিরামিকস এর অষ্টম পর্বের শিক্ষার্থী ছিল।

অপর দিকে ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম মেরাজের মৃত্যুর ঘটনায় মা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেছেন। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কোতয়ালীতে দায়ের করা এ মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি বাজারের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম মেরাজ নিহত হয়। মামলার আসামিরা হলেন-হলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার উৎপল কুমার রায়, সহকারী কমিশনার ইমরান হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান আরিফ, এসআই মামুন, এসআই গণেশ, এসআই মজনু, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল আলম, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা, ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান, ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ।

এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের রমজান আলী তুহিন, লক্ষ্মীণ চন্দ্র দাস, নেংরা মামুন, নবী উল্লাহ পান্না, ডিজেল আহমেদ, নাছিমা জামান ববি, মুরাদ হোসেন, তুষার কান্তি মণ্ডল ও মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি।

Please Share This Post in Your Social Media

আবু সাঈদ-তাহির-মেরাজ হত্যায় ৩ মামলা

রংপুরে শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ আসামি ৪১৩

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর
Update Time : ০৬:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, আব্দুল্লাহ আল তাহির ও ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত রয়েছে আরও ৩৩৫ আসামি।

রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এসব মামলা দায়ের করেন। আদালত শুনানি শেষে বিচারকরা সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত তাজহাট জানা গেছে, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রংপুরের সাবেক পুলিশ কমিশনার ও সাবেক ডিআইজিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে।

মামলার আবেদনে আসামি করা হয়েছে তৎকালীন পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, থানার ওসি রবিউল ইসলাম, পুলিশের এএসআই সৈয়দ আমীর আলী, সুজন চন্দ্র রায়।

এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামিম মাহফুজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডল, গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান রাসেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ, বেরোবি ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী সাংবাদিকদের বলেন, নানা কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে। আমরা এই হত্যা মামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

অন্যদিকে আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির (২৮) হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নিহতের বাবা মোঃ আব্দুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি (বাধ্যতামূলক অবসর) আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বাধ্যতামূলক অবসর) মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উত্তম কুমার পাল, এডিসি (ক্রাইম) উৎপল কুমার রায়, এডিসি (ডিবি) মোঃ নুর ইসলাম পাটোয়ারী, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাসির বিল্লাহ।

এছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবলু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হক প্রমানিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, সাবেক সদস্য সদস্য (সংরক্ষিত) নাছিমা জামান ববি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল আলম, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা, ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান, ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কানা হারুন, ২৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী, জেলা যুবলীগের সভাপতি লক্ষ্মীণ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদকসম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা যুবলীগ নেতা ডিজেল আহমেদ, ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সনু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী মোঃ মানিক, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাহানুর ইসলাম সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক রিপন বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তানিম আহসান চপল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আসিফ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী মোঃ মামুন। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০-৩০০ জনকে।

রংপুরের কোতয়ালী মেট্রো থানার কগনিজেন্স আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রংপুর মহানগর সিটি বাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন আব্দুল্লাহ আল তাহির। সে ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ গ্লাস এন্ড সিরামিকস এর অষ্টম পর্বের শিক্ষার্থী ছিল।

অপর দিকে ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম মেরাজের মৃত্যুর ঘটনায় মা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেছেন। চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কোতয়ালীতে দায়ের করা এ মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি বাজারের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলাম মেরাজ নিহত হয়। মামলার আসামিরা হলেন-হলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার উৎপল কুমার রায়, সহকারী কমিশনার ইমরান হোসেন, সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান আরিফ, এসআই মামুন, এসআই গণেশ, এসআই মজনু, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল আলম, ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা, ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান, ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ।

এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের রমজান আলী তুহিন, লক্ষ্মীণ চন্দ্র দাস, নেংরা মামুন, নবী উল্লাহ পান্না, ডিজেল আহমেদ, নাছিমা জামান ববি, মুরাদ হোসেন, তুষার কান্তি মণ্ডল ও মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনি।