ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো : হাসনাত আব্দুল্লাহ লবণের ট্রাকে ইয়াবা পাচারের মামলায় চালকের যাবজ্জীবন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা হচ্ছে না বুলবুল-ফাহিমের, করতে হবে নির্বাচন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জামায়াত নেতা বহিষ্কার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক করায় ৩০০ কোটির ক্ষতিপূরণ গুনছে ইউটিউব পুরান ঢাকাকে আগের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিবো – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না : ক্রীড়া উপদেষ্টা বিজিবি জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে : ডিজি লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুর, ভারতের প্রতিক্রিয়া

রংপুরে মহাঅষ্টমিতে কুমারী পূজায় ভক্তদের ঢল

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০৭:৪৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৪১৪ Time View

বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মহাঅষ্টমী। পাঁচদিনের এই দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিনে রংপুরের ঐতিহ্যবাহি পুরাতন শহর মাহিগঞ্জ জেবিসেন রোডে রামকৃষ্ণ আশ্রমে সকালে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার।

‘কুমারী মায়িকি জয়, দুর্গা মায়িকি জয়’ ধ্বনিতে কুমারী দেবীকে মণ্ডপে আনা হয়। এ সময় দুর্গা প্রতিমার সামনে কুমারী দেবীর বেদি স্থাপন করা হয়। এতে জীবন্ত দুর্গাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। পূজা শুরুতেই মন্ত্রপাঠ ও প্রার্থনা করা হয়। পরে পঞ্চ উপকরণে কুমারী দেবীকে আরাধনা করেন পুরোহিত ও ভক্তরা।

অপ্রাপ্ত ৭ বছরের শিশু মধুবন্তী ঘোষকে দেবী দুর্গা সাজিয়ে এই পূজা করা হয়েছে। রংপুর শহরের একমাত্র মন্দির যা মাহিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমেই এই কুমারী পূজা হয়ে থাকে।

অশুভ শক্তিকে বিনাশ, হিংসা বিদ্বেশ হানাহানি থেকে মুক্তিলাভ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। নারীকে মাতৃরুপে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের জন্য কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

পূজার ফাঁকে ঢাক-ঢোল, শঙ্খ, কাঁসর ও ঘণ্টা ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে মণ্ডপ। ভক্তরা ঘুরে ঘুরে উলুধ্বনি দেন। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। এরপর প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

মাহিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমে ভোর থেকে শত শত ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয়। সকল ভক্তই হিংসা বিদ্বেশ হানাহানি ভুলে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রার্থনা করেন। পরে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এসময় মাহিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের সভাপতি ডা. অজয় কুমার রায় বলেন, আমাদের পূজায় আনন্দ উৎসবের কোনো ঘাটতি নেই। শারদীয় দুর্গাপূজা আড়ম্বর পরিবেশে উৎসাহের সাথে পূজা করছে। মণ্ডপে ভক্তদের উপস্থিতিই সেটা প্রমাণ করে। ভক্তরা স্বস্তফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে মহাঅষ্টমিতে কুমারী পূজায় ভক্তদের ঢল

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
Update Time : ০৭:৪৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মহাঅষ্টমী। পাঁচদিনের এই দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিনে রংপুরের ঐতিহ্যবাহি পুরাতন শহর মাহিগঞ্জ জেবিসেন রোডে রামকৃষ্ণ আশ্রমে সকালে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার।

‘কুমারী মায়িকি জয়, দুর্গা মায়িকি জয়’ ধ্বনিতে কুমারী দেবীকে মণ্ডপে আনা হয়। এ সময় দুর্গা প্রতিমার সামনে কুমারী দেবীর বেদি স্থাপন করা হয়। এতে জীবন্ত দুর্গাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। পূজা শুরুতেই মন্ত্রপাঠ ও প্রার্থনা করা হয়। পরে পঞ্চ উপকরণে কুমারী দেবীকে আরাধনা করেন পুরোহিত ও ভক্তরা।

অপ্রাপ্ত ৭ বছরের শিশু মধুবন্তী ঘোষকে দেবী দুর্গা সাজিয়ে এই পূজা করা হয়েছে। রংপুর শহরের একমাত্র মন্দির যা মাহিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমেই এই কুমারী পূজা হয়ে থাকে।

অশুভ শক্তিকে বিনাশ, হিংসা বিদ্বেশ হানাহানি থেকে মুক্তিলাভ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। নারীকে মাতৃরুপে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের জন্য কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

পূজার ফাঁকে ঢাক-ঢোল, শঙ্খ, কাঁসর ও ঘণ্টা ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে মণ্ডপ। ভক্তরা ঘুরে ঘুরে উলুধ্বনি দেন। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। এরপর প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

মাহিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমে ভোর থেকে শত শত ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয়। সকল ভক্তই হিংসা বিদ্বেশ হানাহানি ভুলে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রার্থনা করেন। পরে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এসময় মাহিগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের সভাপতি ডা. অজয় কুমার রায় বলেন, আমাদের পূজায় আনন্দ উৎসবের কোনো ঘাটতি নেই। শারদীয় দুর্গাপূজা আড়ম্বর পরিবেশে উৎসাহের সাথে পূজা করছে। মণ্ডপে ভক্তদের উপস্থিতিই সেটা প্রমাণ করে। ভক্তরা স্বস্তফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে।