ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

উপদেষ্টাদের কেউ দুর্নীতি করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না : দুদক চেয়ারম্যান

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০৫:১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪০ Time View

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস একেবারে দূর্নীতির বিপক্ষের একজন মানুষ। তার উপদেষ্টা পরিষদের কেউ দুর্নীতি করলে কাউকে বিন্দু মাত্র ছাড় দিতে রাজী নন বলে জানিয়েছেন রংপুরে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে নগরীর ষ্টেশন রোডে দুদক এর বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গত এক বছরে অনেক মামলা হয়েছে এবং পুরনো অনেক মামলা বিগত সময়ে ধামাচাপা রয়েছিলো সেই মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সাথে নতুন মামলাগুলো দেখা হচ্ছে গুরুত্ব দিয়ে। এছাড়াও অনেক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, বিশেষ করে সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকে, সেগুলো প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে নিয়মিত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুনীতি কমিশনের নিজস্ব কিছুবিধিবদ্ধ কতগুলো আইন আছে। আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। দুনীতি বাংলাদেশে অনেক ধরণের আছে, কিন্তু আমাদের সীমাবব্ধতা রয়েছে। আমরা সরকারি লোক। টাকা পাচার, অবৈধ আয় বিষয়ে সজাগ থাকার চেষ্টা করে দুদক। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকটা মামলা চলমান। আরো কয়েকটা বিষয় তদন্তাধীন। তদন্ত করে যদি শেষপর্যন্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে মামলা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, দুদকের ঝুলে থাকা মামলাগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পতি হয় সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কয়েকটি নিউজ পেপারে এসেছে এই সরকারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই অন্তবর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দুনীতির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার। আমরাও বিধিবদ্ধভাবে কাউকে ছাড় দিবো না। তবে কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে, তা যেন সুনির্দিষ্ট হয়। আমরা যদি শুধু বলি কোটি কোটি টাকা অমুক আত্মসাৎ করেছেন, দুর্নীতি করেছেন বললে হবে না। বলতে হবে কোথা থেকে করেছেন, কিভাবে করেছেন, এই অংশগুলো যদি আমরা প্রমাণ করতে না পারি, তাহলে শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগ টিকবে না। এমনকি উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, সেই অভিযোগগুলো যদি সুনির্দিষ্ট হয় তাহলে নিয়ে আসুন। তবে আপনারা এটাও লক্ষ রাখবেন, আমরা যেন আমাদের কাজটি সঠিকভাবে করছি কিনা। ঠিকভাবে করতে না পারলে এটারও সমালোচনা করবেন।

এরপর দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে দুদক চেয়ারম্যান ড.মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার আবু সাইমসহ প্রশাসনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

উপদেষ্টাদের কেউ দুর্নীতি করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না : দুদক চেয়ারম্যান

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
Update Time : ০৫:১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস একেবারে দূর্নীতির বিপক্ষের একজন মানুষ। তার উপদেষ্টা পরিষদের কেউ দুর্নীতি করলে কাউকে বিন্দু মাত্র ছাড় দিতে রাজী নন বলে জানিয়েছেন রংপুরে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে নগরীর ষ্টেশন রোডে দুদক এর বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গত এক বছরে অনেক মামলা হয়েছে এবং পুরনো অনেক মামলা বিগত সময়ে ধামাচাপা রয়েছিলো সেই মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সাথে নতুন মামলাগুলো দেখা হচ্ছে গুরুত্ব দিয়ে। এছাড়াও অনেক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, বিশেষ করে সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকে, সেগুলো প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে নিয়মিত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুনীতি কমিশনের নিজস্ব কিছুবিধিবদ্ধ কতগুলো আইন আছে। আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। দুনীতি বাংলাদেশে অনেক ধরণের আছে, কিন্তু আমাদের সীমাবব্ধতা রয়েছে। আমরা সরকারি লোক। টাকা পাচার, অবৈধ আয় বিষয়ে সজাগ থাকার চেষ্টা করে দুদক। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকটা মামলা চলমান। আরো কয়েকটা বিষয় তদন্তাধীন। তদন্ত করে যদি শেষপর্যন্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে মামলা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, দুদকের ঝুলে থাকা মামলাগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পতি হয় সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কয়েকটি নিউজ পেপারে এসেছে এই সরকারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই অন্তবর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দুনীতির বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার। আমরাও বিধিবদ্ধভাবে কাউকে ছাড় দিবো না। তবে কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে, তা যেন সুনির্দিষ্ট হয়। আমরা যদি শুধু বলি কোটি কোটি টাকা অমুক আত্মসাৎ করেছেন, দুর্নীতি করেছেন বললে হবে না। বলতে হবে কোথা থেকে করেছেন, কিভাবে করেছেন, এই অংশগুলো যদি আমরা প্রমাণ করতে না পারি, তাহলে শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগ টিকবে না। এমনকি উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, সেই অভিযোগগুলো যদি সুনির্দিষ্ট হয় তাহলে নিয়ে আসুন। তবে আপনারা এটাও লক্ষ রাখবেন, আমরা যেন আমাদের কাজটি সঠিকভাবে করছি কিনা। ঠিকভাবে করতে না পারলে এটারও সমালোচনা করবেন।

এরপর দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে দুদক চেয়ারম্যান ড.মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার আবু সাইমসহ প্রশাসনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।