ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বসুন্ধরা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পুনর্বহালে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চায় শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিভি হাসপাতালের নার্স ও মিডওয়াইফারিরা মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করতে বললেন নাহিদ নার্সিং পেশা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন শেখ হাসিনাকে ‘আপা আপা’ বলা আ.লীগকর্মী তানভীর বহিষ্কার কলকাতায় ইলিশের জন্য হাহাকার, কেজি ৫ হাজার টাকা ফের ৫ দিনের রিমান্ডে গোলাম দস্তগীর গাজী লেবাননে পেজার হামলা, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের শঙ্কা রাশিয়ার উসকানিদাতা কবি, সাংবাদিকরাও বিচারের আওতায় আসবেন: নাহিদ আছাদুজ্জামান মিয়ার ব্রিফকেসে ১০ কোটি টাকার এফডিআরের নথি

রংপুরে চিকিৎসার অবহেলায় হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব‌্যু‌রো
  • Update Time : ০৯:৫১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৫ Time View

রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলার কারণে দুইদিনের ব্যবধানে ৪ জন নবজাতকের মৃত্যুর হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় বেতার সংলগ্ন অবস্থিত রংপুর নবজাতক শিশু ও প্রসুতি সেবা হাসপাতালে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। রাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ করে নিহত নবজাতকের পরিবাররা।

শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার আজিজুল ইসলাম। মারা যাওয়া নবজাতক শিশুদের বয়স ৪ থেকে ১২ দিন।

নিহত নবজাতক শিশুর পরিবার সুত্রে জানা যায়, শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে কোন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখতে আসেননি। প্রয়োজন মাফিক কোন চিকিৎসা সেবা দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরং শিশু মারা যাওয়ার পরেও টাকার লোভে এনআইসিইউ তে রেখে বিল বাড়ায়। পরে অভিভাবকদের চাপাচাপির কারণে মারা যাওয়ার বিষয়টি শিকার করেন। চিকিৎসা জনিত অবহেলার কারণে বাচ্চা মারা গেলেও তাদের কোনো অনুসুচনা নাই উল্টো হাজার হাজার টাকার স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে বিল পরিশোধের চাপ দিতে থাকে কর্তৃপক্ষ।

নিহত শিশুর অভিভাবক আশিকুর রহমান আশিক জানান, কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তার স্ত্রী। পরে মেডিকেলে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম নেন। সন্তান জন্ম নেয়ার পরপরই চিকিৎসকরা এনআইসিইউ নিতে বলে। কিন্তু মেডিকেলের এনআইসিইউতে সীট না থাকায় এক দালাল তার সন্তানকে এই হাসপাতালে ভর্তি করাতে প্রলুব্ধ করেন।

পরে সন্তানকে সুস্থ করতে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির চারদিন হলেও কোন রকম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেলেনি। ভালো নার্সও পাওয়া যায়নি এখানে। আয়ারাই নার্সের কাজ করে। চিকিৎসকের কথা বললে এই আসছে, কিছুক্ষণ পর আসবে, আজকে আসবে না, কালকে আসবে। এভাবে চারদিন অতিবাহিত হলেও চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। শেষমেস আমার সন্তানকে তারা মেরেই ফেললো। আমি এই হাসপাতালের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এসময় হাসপাতালের কোন চিকিৎসক না থাকায় কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে চিকিৎসার অবহেলায় হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্যু

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব‌্যু‌রো
Update Time : ০৯:৫১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলার কারণে দুইদিনের ব্যবধানে ৪ জন নবজাতকের মৃত্যুর হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় বেতার সংলগ্ন অবস্থিত রংপুর নবজাতক শিশু ও প্রসুতি সেবা হাসপাতালে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। রাতে হাসপাতালে বিক্ষোভ করে নিহত নবজাতকের পরিবাররা।

শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার আজিজুল ইসলাম। মারা যাওয়া নবজাতক শিশুদের বয়স ৪ থেকে ১২ দিন।

নিহত নবজাতক শিশুর পরিবার সুত্রে জানা যায়, শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে কোন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখতে আসেননি। প্রয়োজন মাফিক কোন চিকিৎসা সেবা দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরং শিশু মারা যাওয়ার পরেও টাকার লোভে এনআইসিইউ তে রেখে বিল বাড়ায়। পরে অভিভাবকদের চাপাচাপির কারণে মারা যাওয়ার বিষয়টি শিকার করেন। চিকিৎসা জনিত অবহেলার কারণে বাচ্চা মারা গেলেও তাদের কোনো অনুসুচনা নাই উল্টো হাজার হাজার টাকার স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে বিল পরিশোধের চাপ দিতে থাকে কর্তৃপক্ষ।

নিহত শিশুর অভিভাবক আশিকুর রহমান আশিক জানান, কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তার স্ত্রী। পরে মেডিকেলে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম নেন। সন্তান জন্ম নেয়ার পরপরই চিকিৎসকরা এনআইসিইউ নিতে বলে। কিন্তু মেডিকেলের এনআইসিইউতে সীট না থাকায় এক দালাল তার সন্তানকে এই হাসপাতালে ভর্তি করাতে প্রলুব্ধ করেন।

পরে সন্তানকে সুস্থ করতে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির চারদিন হলেও কোন রকম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেলেনি। ভালো নার্সও পাওয়া যায়নি এখানে। আয়ারাই নার্সের কাজ করে। চিকিৎসকের কথা বললে এই আসছে, কিছুক্ষণ পর আসবে, আজকে আসবে না, কালকে আসবে। এভাবে চারদিন অতিবাহিত হলেও চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। শেষমেস আমার সন্তানকে তারা মেরেই ফেললো। আমি এই হাসপাতালের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই। বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এসময় হাসপাতালের কোন চিকিৎসক না থাকায় কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।