রংপুরের গংগাচড়া ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ১২ শ ঘরবাড়ি: আহত ৫

- Update Time : ০৬:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩৮ Time View
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝডড়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আকস্মিক এ ঘূর্ণিঝড় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে প্রায় ১২ শ ঘরবাড়ি। এতে আহত হয়েছে ৫ জন।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গংগাচড়া উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সকালে কালোমেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় প্রকৃতি। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে টিনশেড ও আধা-পাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে পড়ে। অল্প সময়ের এই ঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১২ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন।
আলমবিবিতর ইউনিয়নের কুতুব হাজীরহাটের বাসিন্দা নাজমুল আমিন (৩৫) বলেন, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে আমার পাকা ঘর ভেঙে গেছে। ঘরের টিন উড়ে নিয়ে গেছে অনেক দুরে। ঘরের ভেতরে থাকা আমার ছেলে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মাফি’র মাথা ফেটেছে ও পা ভেঙেছে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী বলেন, তার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আলমবিদিতর ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান চয়ন জানান, ওই ইউনিয়নে প্রায় ৩০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ঝড়ে উঠতি (আধাপাকা) আমন ধানের ক্ষেত ন্যুইয়ে পড়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
গংগাচড়া উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ১২ শ ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে জেলা প্রশাসনের কাছে চাল, টিন, নগদ অর্থের আবেদন করা হবে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের সাথে যোগযোগ করা হয়েছে এ বিষয়ে। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত রংপুরে ৬১.৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। রংপুরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জেনেছেন তবে, ওদিকে স্টেশন না থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ জানা সম্ভব হয়নি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়