ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু, মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগনের আস্থা অর্জন করা যায় – মনোয়ারা বেগম সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ রিমান্ডে টেকসই পর্যটনের জন্য প্রকৃতি রক্ষা অপরিহার্য – পরিবেশ উপদেষ্টা ইসরাইলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেবো না: ট্রাম্প শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা, আদালতে খারিজ শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন সমীর ওয়াংখেড়ে চেন্নাইয়ে থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদপিষ্ট হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু জনগণ যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবে চলতে হবে : তারেক রহমান বাদামতলীতে ঢাকা ৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি’র গণসংযোগ

যৌন হয়রানি এড়াতে ‘আবেদনময়ী আচরণ’ না করার পরামর্শ মেয়েদের

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩৪৯ Time View

যৌন হয়রানি এড়াতে মেয়েদের ‘উত্তেজক পোশাক না পরা এবং আবেদনময়ী আচরণ না করা’র পরামর্শ দিয়ে তোপের মুখে পড়েছে চীনের একটি স্কুল।

এ নিয়ে বিতর্কের মুখে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতে হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। তারপরও থামেনি সমালোচনা।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলির তথ্যমতে, স্কুলটি গুয়াংডং প্রদেশের ঝাওকিং শহরে অবস্থিত। গত বছর সেখানে ‘মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা’ সংক্রান্ত একটি ক্লাস নেওয়া হয়েছিল। সেই ক্লাসে পাঠদানের উপাদানগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এ মাসে। এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।

দেখা যায়, পাঠ্যসূচির একটি কাগজে বলা হয়েছে, যৌন হয়রানির শিকার মানুষেরা ‘ভুগছেন, কারণ তারা আকর্ষণীয় পোশাক পরেন এবং আবেদনময়ী আচরণ করেন’। এতে আরও লেখা, ‘মেয়েদের স্বচ্ছ বা চটকদার পোশাক পরা এবং হালকা আচরণ করা উচিত নয়’। ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অনেকেই এর জন্য সমাজের রক্ষণশীল মনোভাবকে দায়ী করেছেন। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য পরিস্থিতি গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম উইবোতে একজন লিখেছেন, ওই ক্লাসের শিক্ষক সমস্যাপ্রবণ। অন্যরা ভুক্তভোগীদের দোষারপ করার বিপদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তাদের মতে, নারীরা যে পোশাকই পরেন না কেন, যৌন হয়রানির শিকার হলে তাদের ওপরই দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনরোষের মুখে শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে বিবৃতি দেয় স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষ।

তারা স্বীকার করেছে, গত বছরের এপ্রিলে স্কুলটিতে বিতর্কিত ওই ক্লাসটি নেওয়া হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, বক্তব্যটিতে কিছু ‘অনুপযুক্ত অভিব্যক্তি’ ছিল, যা (অনলাইন ব্যবহারকারীদের মধ্যে) ভুল বোঝাবুঝির কারণ হয়েছে। কাউন্টির শিক্ষা ব্যুরো এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ‘ধিক্কার জানিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিয়েছে’।

এ ছাড়া স্কুলটিকে তাদের পাঠ্যসূচি পর্যালোচনা এবং শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে। তবে সরকারি এই বিবৃতিকেও সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করেছেন অনেকে। তাদের মতে, কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ শব্দের ব্যবহার যথোপযুক্ত ছিল না। ওই ক্লাসে পাঠদানের উপাদানগুলো নির্দোষ নয়। বরং তা সমাজের বাস্তবতারই প্রতিফলন।

এক সমালোচক লিখেছেন, অনলাইনের মানুষ ভুল বোঝেনি। দায়ীদের সাজা হয়েছে খুবই সামান্য। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি স্কুলটির কর্তৃপক্ষ।

Please Share This Post in Your Social Media

যৌন হয়রানি এড়াতে ‘আবেদনময়ী আচরণ’ না করার পরামর্শ মেয়েদের

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

যৌন হয়রানি এড়াতে মেয়েদের ‘উত্তেজক পোশাক না পরা এবং আবেদনময়ী আচরণ না করা’র পরামর্শ দিয়ে তোপের মুখে পড়েছে চীনের একটি স্কুল।

এ নিয়ে বিতর্কের মুখে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতে হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। তারপরও থামেনি সমালোচনা।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলির তথ্যমতে, স্কুলটি গুয়াংডং প্রদেশের ঝাওকিং শহরে অবস্থিত। গত বছর সেখানে ‘মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা’ সংক্রান্ত একটি ক্লাস নেওয়া হয়েছিল। সেই ক্লাসে পাঠদানের উপাদানগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এ মাসে। এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।

দেখা যায়, পাঠ্যসূচির একটি কাগজে বলা হয়েছে, যৌন হয়রানির শিকার মানুষেরা ‘ভুগছেন, কারণ তারা আকর্ষণীয় পোশাক পরেন এবং আবেদনময়ী আচরণ করেন’। এতে আরও লেখা, ‘মেয়েদের স্বচ্ছ বা চটকদার পোশাক পরা এবং হালকা আচরণ করা উচিত নয়’। ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অনেকেই এর জন্য সমাজের রক্ষণশীল মনোভাবকে দায়ী করেছেন। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে লিঙ্গ বৈষম্য পরিস্থিতি গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম উইবোতে একজন লিখেছেন, ওই ক্লাসের শিক্ষক সমস্যাপ্রবণ। অন্যরা ভুক্তভোগীদের দোষারপ করার বিপদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তাদের মতে, নারীরা যে পোশাকই পরেন না কেন, যৌন হয়রানির শিকার হলে তাদের ওপরই দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনরোষের মুখে শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে বিবৃতি দেয় স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষ।

তারা স্বীকার করেছে, গত বছরের এপ্রিলে স্কুলটিতে বিতর্কিত ওই ক্লাসটি নেওয়া হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, বক্তব্যটিতে কিছু ‘অনুপযুক্ত অভিব্যক্তি’ ছিল, যা (অনলাইন ব্যবহারকারীদের মধ্যে) ভুল বোঝাবুঝির কারণ হয়েছে। কাউন্টির শিক্ষা ব্যুরো এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ‘ধিক্কার জানিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিয়েছে’।

এ ছাড়া স্কুলটিকে তাদের পাঠ্যসূচি পর্যালোচনা এবং শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে। তবে সরকারি এই বিবৃতিকেও সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করেছেন অনেকে। তাদের মতে, কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ শব্দের ব্যবহার যথোপযুক্ত ছিল না। ওই ক্লাসে পাঠদানের উপাদানগুলো নির্দোষ নয়। বরং তা সমাজের বাস্তবতারই প্রতিফলন।

এক সমালোচক লিখেছেন, অনলাইনের মানুষ ভুল বোঝেনি। দায়ীদের সাজা হয়েছে খুবই সামান্য। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি স্কুলটির কর্তৃপক্ষ।