যুদ্ধবিরতি কার্যকর, গাজায় ফিরছে বাসিন্দারা, সরছে ইসরায়েলি সেনা

- Update Time : ০৬:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
- / ৪৪ Time View
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পর তা কার্যকরও শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুর থেকে ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলি সেনারা প্রস্তুত থাকবে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা গাজার কিছু অংশ থেকে সরতে শুরু করেছে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দাও ইতিমধ্যে বিধ্বস্ত এলাকায় ফিরে এসেছেন। তবে আদৌ সংঘাতের অবসান হচ্ছে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা।
গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে থাকা সেনাদের সরিয়ে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সীমানায় নেওয়া হচ্ছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে গাজার দক্ষিণে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের উত্তরের দিকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ইসমাইল জায়দা বলেন, ‘এই জায়গাটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার প্রতিবেশীদের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, পুরো এলাকা গুঁড়িয়ে গেছে।’ যুদ্ধবিরতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে রাদওয়ান বলেন, ‘তারা যেভাবে বলছে, আদৌ কি তা শেষ হয়েছে? কেন কেউ এসে আমাদের বলছে না যে সত্যিই যুদ্ধবিরতি হয়েছে এবং আমরা নির্ভয়ে থাকতে পারি কি না।’
ইসরায়েল সরকার আজ শুক্রবার সকালে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় সহিংসতা থামানো সম্ভব হবে এবং এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। গাজায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। পরিকল্পনার এ ধাপে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার শুরু হবে।
গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, ইতিমধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে কিছু ইসরায়েলি সেনা সরে গেছেন। তবে ট্যাংকের গোলার শব্দ শোনা গেছে। গাজার কেন্দ্রস্থল নুসেইরাত শিবিরে দেখা গেছে, সেনারা তাঁদের অবস্থান থেকে সরে পূর্বে ইসরায়েলি সীমান্তের দিকে চলে গেছেন। তবে আজ ভোরে গুলির শব্দ শোনার পর অন্য কিছু সেনা ওই এলাকায় অবস্থান নেন। ইসরায়েলি বাহিনী গাজা নগরীর ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী সড়ক থেকেও সরে গেছে। শত শত মানুষ শহরের কেন্দ্রে ফেরার আশায় সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, কাছাকাছি জায়গায় গুলির শব্দ শোনার কারণে অনেকেই এগোতে সাহস পাননি। শুধু অল্প কয়েকজন হেঁটে জায়গাটি পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।উদ্ধারকর্মীরা আগে গাজা শহরের যেসব এলাকায় যেতে পারেননি, এখন সেখানে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর আগে হামলা হয়েছে এমন এলাকা থেকে কমপক্ষে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়