তুরস্কে শান্তি আলোচনা
বন্দি বিনিময়ে রাজি হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেইন

- Update Time : ০৪:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
- / ৫ Time View
তিন বছরের বেশি সময় পর ইস্তাম্বুলে সরাসরি বৈঠকে বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এই আলোচনায় দুই পক্ষই এক হাজার যুদ্ধবন্দিকে একে অপরের কাছে হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ যুদ্ধবিরতির রূপরেখা নিয়ে লিখিত প্রস্তাব আদান-প্রদানের পর আলোচনা ফের শুরু করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
উভয়পক্ষই এক হাজার জন যুদ্ধবন্দি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেইন ও রাশিয়ার আলোচকরা।
কয়েক বছরের মধ্যে তুরস্কে প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনায় বসে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির রূপরেখা উপস্থাপন করা এবং যুদ্ধবন্দি বিনিময় করতে একমত হয়েছেন ইউক্রেইন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।
ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ শুক্রবার আলোচনার পর সাংবাদিকদের জানান, উভয়পক্ষই এক হাজার জন যুদ্ধবন্দি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করতে রাজি হয়েছে।
“আমরা যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। বন্দি বিনিময় নিয়েও কথা হয়েছে। ফলাফল হচ্ছে, ১ হাজার জন বন্দির বিনিময়ে ১ হাজার জন বন্দির মুক্তি। এটিই আমাদের বৈঠকের অর্জন,” বলেন উমেরভ।
তিনি জানান, বন্দি বিনিময়ের দিন তারিখ ঠিক করা হয়েছে, তবে তা এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এই বৈঠকে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্ভাব্য বৈঠক নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান উমেরভ। শিগগিরই সম্ভাব্য নতুন এক দফা আলোচনার ঘোষণা আসবে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।
ওদিকে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কিও বলেছেন, ইস্তাম্বুলের বৈঠক নিয়ে তারা সন্তুষ্ট এবং ভবিষ্যতেও যোগাযোগ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
“ইউক্রেইনের সঙ্গে বড় পরিসরে বন্দি বিনিময় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হতে চলেছে। ১ হাজারের বিনিময়ে ১ হাজার যুদ্ধবন্দি ছাড়া হবে,” বলেন মেদিনস্কি।
তিনি জানান, ইউক্রেইনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যকার সরাসরি বৈঠকের অনুরোধ জানানো হয়েছে। রাশিয়া সে অনুরোধ ‘বিবেচনায় নিয়েছে’।
তাছাড়া, উভয় পক্ষই ভবিষ্যতে সম্ভাব্য একটি যুদ্ধবিরতি নিয়ে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ তুলে ধরতে একমত হয়েছে বলেও জানান মেদিনস্কি।