যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- Update Time : ০১:৫২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ৭০ Time View
১৯৯৩ সালের একটি হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত একজন ব্যক্তিকে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্য। এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর দেশটিতে অত্যন্ত বিতর্কিত একটি পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। সমালোচকেরা একে “নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক শাস্তি” বলে বর্ণনা করেছেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারির পর থেকে আলাবামায় এটি সপ্তম মৃত্যুদণ্ড, যেখানে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হলো। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের মতে, ওষুধ সংগ্রহ ও প্রয়োগে জটিলতার কারণে প্রাণঘাতী ইনজেকশনের পরিবর্তে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
যদিও আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তিন উদারপন্থি বিচারপতি। তারা হলেন- সোনিয়া সোটোমায়র, এলেনা কাগান এবং কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন। ভিন্নমত পোষণ করে সোটোমায়র নাইট্রোজেন গ্যাসকে অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় “নির্যাতনমূলক শ্বাসরোধ” হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বয়েড কেবল একটুখানি দয়া চেয়েছিলেন আর তা হলো গুলিতে মৃত্যু, যা কয়েক সেকেন্ডেই ঘটত। কিন্তু আদালত তাকে সেই অনুগ্রহও দিলো না।’ ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিক সারা ক্লিফটন বলেন, ‘বয়েডকে বেঁধে রাখার সময় থেকে মৃত ঘোষণা করা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় ৪০ মিনিট সময় নেয়।’
স্থানীয় সময় ৫টা ৫৭ মিনিটে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ শুরু হয়। এরপরও বয়েড শ্বাস নিতে থাকেন এবং ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে শ্বাস নেন তিনি। তখন তার শরীর কাঁপতে থাকে। ৬টা বেজে ১৮ মিনিটে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এরপর ৬টা বেজে ২৭ মিনিটে গ্যাস বন্ধ করে দেয়া হয়, আর ৬টা ৩৩ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মৃত্যুর আগে বয়েড ৩০ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। ১৯৯৫ সালে গ্রেগরি নিউ ইয়র্ক হুগুলি হত্যার জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মামলাটি কেবল সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। কোনো শারীরিক প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, মামলাটি এমন একটি কাউন্টিতে হয়েছিল, যেখানে তখন মাথাপিছু মৃত্যুদণ্ডের হার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বোচ্চ।







































































































































































































