ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যমুনার পানি দ্রুত বাড়ছে, নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:১৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪১ Time View

উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। গত ৩৩ ঘণ্টায় বেড়েছে ১০৯ সেন্টিমিটার। এতে নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থানে পানি ঢুকে পড়ায় আবাদি জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কৃষকদের।

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে সিরাজগঞ্জে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে প্রতি ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে, ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন ও নিম্নাঞ্চল প্লাবনের আশঙ্কা। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপারের মানুষ।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, রোববার থেকে যমুনার পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় কাজিপুর পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৭৫ সেন্টিমিটার, যা এখন বিপৎসীমার ১৯৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে হার্ডপয়েন্ট এলাকায় পানি বেড়েছে ৬৪ সেন্টিমিটার, তবে এখনও তা বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে।

পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, যমুনার পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে নদীতে প্রতি ঘণ্টায় পানি ২ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। ফলে তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে।

তবে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, পানি আরও ১-২ দিন বাড়তে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্যার আশঙ্কা নেই।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে গত রবিবার (৫ অক্টোবর) থেকে যমুনার পানি বাড়তে থাকে।

তিনি বলেন, ‘সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩৩ ঘণ্টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি ১০৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

হুমায়ুন কবির আরো বলেন, ‘যমুনার পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগামী দুই-এক দিন পানি বাড়তে পারে। তবে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।’

এদিকে, যমুনার পানি বৃদ্ধিতে জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতি বছর পানি ওঠানামার সময় যমুনার পাড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ফলে এবারও ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Please Share This Post in Your Social Media

যমুনার পানি দ্রুত বাড়ছে, নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
Update Time : ১০:১৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। গত ৩৩ ঘণ্টায় বেড়েছে ১০৯ সেন্টিমিটার। এতে নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থানে পানি ঢুকে পড়ায় আবাদি জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কৃষকদের।

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে সিরাজগঞ্জে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে প্রতি ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে, ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন ও নিম্নাঞ্চল প্লাবনের আশঙ্কা। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপারের মানুষ।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, রোববার থেকে যমুনার পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় কাজিপুর পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৭৫ সেন্টিমিটার, যা এখন বিপৎসীমার ১৯৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে হার্ডপয়েন্ট এলাকায় পানি বেড়েছে ৬৪ সেন্টিমিটার, তবে এখনও তা বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে।

পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, যমুনার পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে নদীতে প্রতি ঘণ্টায় পানি ২ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। ফলে তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে।

তবে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, পানি আরও ১-২ দিন বাড়তে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্যার আশঙ্কা নেই।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে গত রবিবার (৫ অক্টোবর) থেকে যমুনার পানি বাড়তে থাকে।

তিনি বলেন, ‘সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩৩ ঘণ্টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি ১০৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

হুমায়ুন কবির আরো বলেন, ‘যমুনার পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগামী দুই-এক দিন পানি বাড়তে পারে। তবে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।’

এদিকে, যমুনার পানি বৃদ্ধিতে জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতি বছর পানি ওঠানামার সময় যমুনার পাড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ফলে এবারও ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।