ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেমোরি কার্ডের জন্য পিটিয়ে হত্যা, ৪ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৯ Time View

রাজবাড়ীতে মেমোরি কার্ডের জন্য পিটিয়ে মাইনুদ্দিন গাজী (১৮) হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার আরেক আসামি বাবু ভুইঁয়াকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাজবাড়ীর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক-২ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন— রাজবাড়ী সদর উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুল কাসেম খানের ছেলে ফয়সাল খান, আব্দুর রশিদ ব্যাপারীর ছেলে জনি ব্যাপারী (২৮), তাফা পাটোয়ারীর ছেলে নেছার পাটোয়ারী (২৮) এবং ছিদ্দিক মিজির ছেলে ইসহাক মিজি (২৯)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ রাতে মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাড়ি ফেরার পথে মাইনুদ্দিন গাজী ও তার বন্ধু নজরুলকে আটক করে লোহার পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এবং পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইনুদ্দিন মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা খলিলুর রহমান গাজী পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাজবাড়ীর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক-২ বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চারজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেছেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

Please Share This Post in Your Social Media

মেমোরি কার্ডের জন্য পিটিয়ে হত্যা, ৪ জনের যাবজ্জীবন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীতে মেমোরি কার্ডের জন্য পিটিয়ে মাইনুদ্দিন গাজী (১৮) হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার আরেক আসামি বাবু ভুইঁয়াকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাজবাড়ীর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক-২ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন— রাজবাড়ী সদর উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের আব্দুল কাসেম খানের ছেলে ফয়সাল খান, আব্দুর রশিদ ব্যাপারীর ছেলে জনি ব্যাপারী (২৮), তাফা পাটোয়ারীর ছেলে নেছার পাটোয়ারী (২৮) এবং ছিদ্দিক মিজির ছেলে ইসহাক মিজি (২৯)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ রাতে মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাড়ি ফেরার পথে মাইনুদ্দিন গাজী ও তার বন্ধু নজরুলকে আটক করে লোহার পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এবং পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইনুদ্দিন মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা খলিলুর রহমান গাজী পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাজবাড়ীর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক-২ বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চারজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেছেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।