আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ
মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন ৫ দিনের রিমান্ডে

- Update Time : ০১:১৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩১১ Time View
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
তবে রিমান্ডে না পাঠানোর জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানান সুমাইয়া জাফরিন।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে নিয়েছে। পরে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপন বৈঠক ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। এ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে তার নিজ বাসস্থান রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের লক্ষ্যে এরইমধ্যে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতকে জানিয়েছেন, সেখানে সব আয়োজন আগে থেকেই করা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমি ও আমার স্বামী কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলাম।
তার আগে, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা-সংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সুমাইয়া জাফরিনকে বুধবার ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
শুনানি চলাকালে বিচারককে জাফরিন বলেন, আগে থেকেই ওটা অ্যারেঞ্জ করা ছিল। সেখানে ইনভাইটেশন পেয়ে আমি ও আমার হাজবেন্ড কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, এএসপির পরিচয়ে অন্য কেউ জায়গাটা ভাড়া করেছিল। সেটা আমার ওপর চাপানো হচ্ছে। দয়া করে আমাকে রিমান্ডের মতো ডিসিশন দেবেন না। কিছু জানার থাকলে এমনিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। আমি উত্তর দেব। আমি নিজে এটা করিনি। তাই অনুরোধ আমাকে রিমান্ড দেবেন না।
গত ৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কে বি কনভেনশন সেন্টারে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গোপন বৈঠক হয়। এ ঘটনায় ১৩ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ভাটারা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এ মামলায় গ্রেফতার ২২ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।