ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেঘনায় ১০ ট্রলার ডুবি: ৫ ট্রলারসহ এখনো নিখোঁজ ২৮

গিয়াস উদ্দিন রনি, নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:১৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১২ Time View

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে দশটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১৮ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ৫টি ট্রলারসহ ২৮ মাঝি এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা।

গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মেঘনা নদীর কয়েকটি এলাকায় এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।

ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকেরা হলেন বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি।

স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক দিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার। সাগর উত্তাল থাকায় বিকেল থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করে। ঘাটে ফেরার সময় ট্রলার গুলো বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে মেঘনা নদীর মোহনায় বিভিন্ন সময়ে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। পরে পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য ট্রলার গুলো কিছু জেলেকে উদ্ধার করে। তবে জেলেদের মাছ ধরার জাল ট্রলারসহ নদীতে তলিয়ে যায়। এছাড়া মেঘনা নদীতে আরও কয়েকটি ট্রলার রয়েছে। সেগুলোর এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেয়ার পর থেকে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি আলোকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

মেঘনায় ১০ ট্রলার ডুবি: ৫ ট্রলারসহ এখনো নিখোঁজ ২৮

গিয়াস উদ্দিন রনি, নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:১৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে দশটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১৮ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ৫টি ট্রলারসহ ২৮ মাঝি এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা।

গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মেঘনা নদীর কয়েকটি এলাকায় এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।

ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকেরা হলেন বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি।

স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক দিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার। সাগর উত্তাল থাকায় বিকেল থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করে। ঘাটে ফেরার সময় ট্রলার গুলো বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে মেঘনা নদীর মোহনায় বিভিন্ন সময়ে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। পরে পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য ট্রলার গুলো কিছু জেলেকে উদ্ধার করে। তবে জেলেদের মাছ ধরার জাল ট্রলারসহ নদীতে তলিয়ে যায়। এছাড়া মেঘনা নদীতে আরও কয়েকটি ট্রলার রয়েছে। সেগুলোর এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন চাকমা আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেয়ার পর থেকে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি আলোকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।