ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

মুনতাহার মরদেহ উদ্ধারের পর বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ২৪ Time View

নিখোঁজের ৭ দিন পর মিলেছে সিলেটের কানাইঘাটের ৬ বছরের শিশু মুনতাহার মরদেহ। শিশুটির সাবেক গৃহশিক্ষিকা, শিক্ষিকার মা ও নানি তিনজন মিলে তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলে।

রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মুনতাহার পুঁতে ফেলা মরদেহ তুলে পুকুরের পানিতে ফেলার সময় স্থানীয়রা গৃহশিক্ষিকার মা আলিফজান বিবিকে হাতেনাতে আটক করেন। শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর আজ রবিবার ভোরে শিশু মুনতাহার লাশ উদ্ধার করা হয়। ভোর ৪টার দিকে মার্জিয়ার মা আলিফজান বাড়ির পাশের একটি গর্ত থেকে মুনতাহার লাশ তুলে তা পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার সময় স্থানীয় আবদুল ওয়াহিদ নামের এক ব্যক্তি তা দেখে ফেলেন। তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশি আরেকজন ছুটে আসেন। তাদেরকে দেখে আলিফজান লাশ পুকুরপাড়ে ফেলে দৌড় দেন। তখন তারা ধাওয়া করে আলিফজানকে আটক করে কানাইঘাট থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদ বলেন, মুনতাহার নিখোঁজের পর রোববার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ মুনতাহার স্বজনদের বলেন মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না খোঁজ নিতে। স্থানীয়রা রোববার রাতভর তার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না খুঁজতে থাকেন। ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধাকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান।

আটক আলিফজান বিবির বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন জানান, তারা মুনতাহার মরদেহ প্রথমে মাটিতে পুঁতে ফেলেছিলেন। রাতে সেখান থেকে মরদেহ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলতে চেয়েছিলেন।

এর আগে, রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

মুনতাহার মরদেহ উদ্ধারের পর বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০২:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

নিখোঁজের ৭ দিন পর মিলেছে সিলেটের কানাইঘাটের ৬ বছরের শিশু মুনতাহার মরদেহ। শিশুটির সাবেক গৃহশিক্ষিকা, শিক্ষিকার মা ও নানি তিনজন মিলে তাকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলে।

রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মুনতাহার পুঁতে ফেলা মরদেহ তুলে পুকুরের পানিতে ফেলার সময় স্থানীয়রা গৃহশিক্ষিকার মা আলিফজান বিবিকে হাতেনাতে আটক করেন। শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষিকা শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা ও তার নানি কুতুবজান বিবিকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর আজ রবিবার ভোরে শিশু মুনতাহার লাশ উদ্ধার করা হয়। ভোর ৪টার দিকে মার্জিয়ার মা আলিফজান বাড়ির পাশের একটি গর্ত থেকে মুনতাহার লাশ তুলে তা পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার সময় স্থানীয় আবদুল ওয়াহিদ নামের এক ব্যক্তি তা দেখে ফেলেন। তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশি আরেকজন ছুটে আসেন। তাদেরকে দেখে আলিফজান লাশ পুকুরপাড়ে ফেলে দৌড় দেন। তখন তারা ধাওয়া করে আলিফজানকে আটক করে কানাইঘাট থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমদ বলেন, মুনতাহার নিখোঁজের পর রোববার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে মার্জিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে রাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ মুনতাহার স্বজনদের বলেন মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে মাটি খোঁড়া আছে কি না খোঁজ নিতে। স্থানীয়রা রোববার রাতভর তার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মাটিখোঁড়া কোনো জায়গা আছে কি না খুঁজতে থাকেন। ফজরের আজানের আগ মুহূর্তে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে হঠাৎ অন্ধাকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্ঠা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। পরে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান।

আটক আলিফজান বিবির বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন জানান, তারা মুনতাহার মরদেহ প্রথমে মাটিতে পুঁতে ফেলেছিলেন। রাতে সেখান থেকে মরদেহ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলতে চেয়েছিলেন।

এর আগে, রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।

নওরোজ/এসএইচ