মিরাজকে দলে না রাখার যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক

- Update Time : ১২:২২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
- / ২ Time View
মেহেদি হাসান মিরাজ কেন আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে নেই? ভক্ত-সমর্থকদের কৌতুহলি প্রশ্ন। আজ রোববার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনেও উঠলো সে প্রশ্ন।
মিরাজকে কেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিবেচনা করা হলো না? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু স্বীকার করলেন, ‘মিরাজ আমাদের জাতীয় দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডেতে মিরাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়েও সেটার প্রতিফলন হয়েছে।’
কিন্তু কথা-বার্তায় পরিষ্কার, নির্বাচকরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মিরাজকে খানিক পিছিয়ে রাখেন। তাইতো লিপুর মুখে এমন কথা, ‘শুধু জাতীয় দলেই নয়। এরই মধ্যে বিশ্বকাপে আপনারা দেখবেন যে একটু পিছিয়ে রেখেছিলাম মিরাজকে।’
এটুকু বলে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, ইনজুরির কথাও বিবেচনায় ছিল তাদের। তাই এমন ব্যাখ্যা, ‘একজন ক্রিকেটার যদি চোটে পড়ে যান, তিন সংস্করণের জন্যই তিনি পিছিয়ে পড়েন।’
তবে মিরাজকে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে না রাখার যে ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক, তার পক্ষে অবশ্য যুক্তি আছে। তার কথা, ‘এখানে যে পাঁচ বোলার থাকবে, সবাইকে চার ওভার করে বোলিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে শেখ মেহেদি কিছুটা এগিয়ে আছে।’
একই সঙ্গে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আরও একটি যুক্তি তুলে ধরেন। তাহলো- পিএসএল খেলে নাহিদ রানার দলে ফেরার দিনক্ষণ নিশ্চিত নয়। তাই একজন বাড়তি পেসার দলে নেয়া হয়েছে। নাহিদ রানা আগে চলে আসলে বাড়তি পেসার নেয়ার দরকার পড়তো না।
এমনটা জানিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমাদের হাতে যদি সুযোগ থাকত যে নাহিদ রানা যথারীতি আমাদের সঙ্গে আছে, তাহলে কিন্তু পাঁচ সিমারের জায়গায় চারজন নিতে পারতাম। সেখানে একটা ব্যাটার বাড়াতে পারতাম। সেই সুযোগটা আমাদের কাছে ছিল না। আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারব না। লিটন দাস যদি তিন নম্বরে থাকেন, তাহলে মিডল অর্ডারে খেলার জন্য তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও অনিক আছে।’
তারপরও লিপুর শেষ কথা, ‘সুযোগ থাকলে আমি মিরাজকে নিতাম। তিনি আমাদের টি-টোয়েন্টির পরিকল্পনায় একটু পেছন দিকে আছেন। কিন্তু তিনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চমৎকার ক্রিকেটার। তাকেও আমরা খেলার মধ্যে রাখব। যাতে তিনি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে না থাকেন।’
এদিকে পরিসংখ্যান মিরাজের বিপক্ষে কথা বলছে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষ ২২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মিরাজ একবার মাত্র ৪ ওভারে কোটা পূর্ণ করার সুযোগ পেয়েছেন। বাকি ২১ ম্যাচের তিনটিতে বোলিংই করেননি। এছাড়া ১৮ খেলার মধ্যে ৮ বার ২ ওভার করে বোলিং করেছেন। এছাড়া ১ ওভার করে ৬ বার আর ৩ ওভার করে ৪ বার বোলিং করানো হয়েছে মিরাজকে। কাজেই তার বোলিংটা কম গুরুত্ব পেয়েছে।