ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ পাকিস্তান সেনা-তালেবানের মধ্যে গোলাগুলি, সীমান্তে উত্তেজনা তিন সপ্তাহ পর নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ ইতালি যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

মিয়ানমারে নির্বাচন: ভোটে ব্যাঘাত ঘটালে মৃত্যুদণ্ড!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৩২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৬৩৬ Time View

নেপিদোতে গত ২৭ মার্চ মিয়ানমারের ৮০তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে সামরিক কাউন্সিলের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। সংঘাতপূর্ণ রাজ্যগুলোতে ভোট আয়োজনের জন্য সামরিক অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি, ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটালে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের কায়িন রাজ্যের মিয়াওয়াডি জেলায় এশিয়া হাইওয়ে সংলগ্ন দুটি গ্রামে রকেট হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ধ্বংস হয়ে গেছে বহু ঘর-বাড়ি। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন বাসিন্দারা। নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পরও জান্তা বাহিনীর এ হামলাকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে দাবি করে তারা জানায়, সেনাবাহিনী শিশুদের আটকে নির্যাতন এবং বন্দিশিবিরে পরিকল্পিত যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্তি অত্যাচারের কারণে অনেকে প্রাণও হারিয়েছেন।

তবে, যেকোনো মূল্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তি কমিশনের প্রথম বৈঠকে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের জন্য দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া চালু হবে। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া সংঘাতপূর্ণ রাজ্যগুলোতে ভোট আয়োজনের জন্য সামরিক অভিযান চালানোরও ঘোষণা দেন তিনি। সেনাপ্রধান আরও বলেন, নির্বাচন সুরক্ষার নামে নতুন আইনের আওতায় ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটালে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

এদিকে মিয়ারনমারের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিশ্ব মঞ্চে। চীন ও রাশিয়া প্রকাশ্যে সমর্থন করছে জান্তা সরকারকে। সীমান্ত নিরাপত্তার কারণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছে ভারত ও থাইল্যান্ড। তবে আয়োজনটিকে ছদ্ম নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মালয়েশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।

Please Share This Post in Your Social Media

মিয়ানমারে নির্বাচন: ভোটে ব্যাঘাত ঘটালে মৃত্যুদণ্ড!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৯:৩২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

মিয়ানমারে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। সংঘাতপূর্ণ রাজ্যগুলোতে ভোট আয়োজনের জন্য সামরিক অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি, ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটালে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের কায়িন রাজ্যের মিয়াওয়াডি জেলায় এশিয়া হাইওয়ে সংলগ্ন দুটি গ্রামে রকেট হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ধ্বংস হয়ে গেছে বহু ঘর-বাড়ি। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন বাসিন্দারা। নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার পরও জান্তা বাহিনীর এ হামলাকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে দাবি করে তারা জানায়, সেনাবাহিনী শিশুদের আটকে নির্যাতন এবং বন্দিশিবিরে পরিকল্পিত যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্তি অত্যাচারের কারণে অনেকে প্রাণও হারিয়েছেন।

তবে, যেকোনো মূল্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তি কমিশনের প্রথম বৈঠকে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের জন্য দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া চালু হবে। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া সংঘাতপূর্ণ রাজ্যগুলোতে ভোট আয়োজনের জন্য সামরিক অভিযান চালানোরও ঘোষণা দেন তিনি। সেনাপ্রধান আরও বলেন, নির্বাচন সুরক্ষার নামে নতুন আইনের আওতায় ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটালে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

এদিকে মিয়ারনমারের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিশ্ব মঞ্চে। চীন ও রাশিয়া প্রকাশ্যে সমর্থন করছে জান্তা সরকারকে। সীমান্ত নিরাপত্তার কারণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছে ভারত ও থাইল্যান্ড। তবে আয়োজনটিকে ছদ্ম নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মালয়েশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।