ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বিএনপি’র সাথে এনসিপি’র বৈঠক বাকৃবিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলনে বহিরাগতদের হামলা, আহত ১৫ নেসকোতে প্রকৌশলী রোকনের গ্রেপ্তারের দাবিতে লংমার্চ ঘোষণা মদ বিক্রি না করায় টঙ্গীর জাবান হোটেলে ভাংচুরের অভিযোগ ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সবাইকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি স্বজনদের গুলিস্তানে চোরাই মোবাইল চক্রের দশ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার: উদ্ধার ১০৩টি ফোন মুনিয়া হত্যাকাণ্ডে আফ্রিদির সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখবে সিআইডি : রাষ্ট্রপক্ষ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১২ কোটি টাকা নিজের জুস পান করে নিজেই বেহুঁশ অজ্ঞান পার্টির সদস্য ! জামাতের গায়ে ছুঁচোর গন্ধ বনাম নির্বাচন বানচালের নতুন তত্ত্ব “পি আর” 

মিয়ানমারের বিতর্কিত নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১০:০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৩ Time View

যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দল পাঠাবে বলে জানিয়েছে ভারত। সোমবার মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যমের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের মাধ্যমে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে সামরিক-সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন। যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত এবং বিতর্কিত।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি মিন অং হ্লাইং সম্প্রতি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠককে সামরিক সরকারের জন্য একটি বিরল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার জানিয়েছে, বৈঠকে দুই নেতা সীমান্তে শান্তি, বাণিজ্য এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তার প্রসঙ্গও উঠে আসে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি আশা প্রকাশ করেছেন যে আসন্ন নির্বাচন ‘সকল অংশীদারের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে’ অনুষ্ঠিত হবে।

তবে এই নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে রয়েছে তীব্র বিতর্ক। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে থাকা বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বা তারা বয়কট করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি এবং পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো এই নির্বাচনকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ এনে সামরিক বাহিনী নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। এরপর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় সহিংসতা এবং গৃহযুদ্ধ, যা এখনও চলছে। সামরিক সরকার এমনকি বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতেও ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে, যদিও দেশজুড়ে আদমশুমারি বা ভোটার তালিকা তৈরিতে সীমিত সাফল্যই পেয়েছে তারা।

মিয়ানমারের গণমাধ্যম বলছে, এখন পর্যন্ত নয়টি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধিত হয়েছে এবং আরও ৫৫টি দল প্রাদেশিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অনুমোদন পেয়েছে—তবে সবই সেনাসমর্থিত নির্বাচন কমিশনের ছাড়পত্রপ্রাপ্ত। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথেও সাম্প্রতিক এক বৈঠকে মিন অং হ্লাইং নির্বাচনের প্রস্তুতি ও বেইজিংয়ের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারত মিয়ানমারের রাজনৈতিক রূপরেখায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে, তবে তা বিতর্ক হয়ে থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

মিয়ানমারের বিতর্কিত নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১০:০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দল পাঠাবে বলে জানিয়েছে ভারত। সোমবার মিয়ানমারের সরকারি গণমাধ্যমের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের মাধ্যমে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে সামরিক-সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন। যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত এবং বিতর্কিত।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি মিন অং হ্লাইং সম্প্রতি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠককে সামরিক সরকারের জন্য একটি বিরল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার জানিয়েছে, বৈঠকে দুই নেতা সীমান্তে শান্তি, বাণিজ্য এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতের সহায়তার প্রসঙ্গও উঠে আসে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি আশা প্রকাশ করেছেন যে আসন্ন নির্বাচন ‘সকল অংশীদারের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে’ অনুষ্ঠিত হবে।

তবে এই নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে রয়েছে তীব্র বিতর্ক। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে থাকা বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বা তারা বয়কট করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলি এবং পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো এই নির্বাচনকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ এনে সামরিক বাহিনী নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। এরপর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় সহিংসতা এবং গৃহযুদ্ধ, যা এখনও চলছে। সামরিক সরকার এমনকি বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতেও ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে, যদিও দেশজুড়ে আদমশুমারি বা ভোটার তালিকা তৈরিতে সীমিত সাফল্যই পেয়েছে তারা।

মিয়ানমারের গণমাধ্যম বলছে, এখন পর্যন্ত নয়টি রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধিত হয়েছে এবং আরও ৫৫টি দল প্রাদেশিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অনুমোদন পেয়েছে—তবে সবই সেনাসমর্থিত নির্বাচন কমিশনের ছাড়পত্রপ্রাপ্ত। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথেও সাম্প্রতিক এক বৈঠকে মিন অং হ্লাইং নির্বাচনের প্রস্তুতি ও বেইজিংয়ের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারত মিয়ানমারের রাজনৈতিক রূপরেখায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে, তবে তা বিতর্ক হয়ে থাকবে।