ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিথ্যা মামলায় ১১ বছর জেল খেটেছে যুবদল কর্মি মিজুর

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৩১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৩০ Time View

দীর্ঘ ১১ বছর জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়ন যুবদল কর্মি মিজানুর রহমান ওরফে মিজু। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতার ১৬ বছর শুধু মাত্র ছাত্রদল করার কারণে তার ওপর নেমে আসে নানা জেল জুলুম। বার বার সীমাহীন নিপীড়ন সত্ত্বেও জেল থেকে বেরিয়েই ছিলেন আন্দোলনের মাঠে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আওয়ামী লীগ আমলে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানির প্রতিবাদে জেলা শহর মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী যুবদল কর্মি মিজানুর রহমান মিজু।

সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মিজু লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, ২০১৪ সালে ২২ বছর বয়সে শুধু মাত্র ছাত্রদল করার কারণে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। ৮দিন আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে হাত-পায়ের নখ উপড়ে গোপনাঙ্গে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ নিষাদ সেলিম হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, পুলিশ ফাইটসহ ৫টি মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামি দেখিয়ে চালান দেওয়া হয়।

দুই বছর জেল খেটে বের হওয়ার পর পুনরায় নিজ এলাকা থেকে ২০১৬ সালে আমাকে গ্রেপ্তার করে ৩টি মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ শাসনামলের ১৬ বছরের মধ্যে ১১ বছর আমি কারাগারে বন্দি ছিলাম। আমার বন্দি জীবনের চিন্তায় আমার বাবা ২০২২ সালে স্ট্রোক করে মারা যান।

তিনি আরও বলেন, খুনি হাসিনার বন্দিশালায় যাওয়ার পর একটি সাজানো অস্ত্র মামলায় তদবির করে আমাকে ১৭ বছর সাজার দেওয়া হয়। ওই মামলায় টানা  ৭বছর জেলে বন্দি ছিলাম। সাত বছরের মধ্যে বহুবার আমি জামিনের আবেদন করেছি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আদালত আমাকে জামিন দেয়নি। ২০২৩ সালে ৯ জানুয়ারি অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর জামিনে জামিনে মুক্তি পাই। এর দুই মাস পর ষড়যন্ত্র করে আবার আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার দেখায়। ২০২৩ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাকে ৩বার গ্রেপ্তার করা হয়। বাবা মারা যাওয়ার আমি প্যারোলে জামিন চেয়েছি। কিন্ত আমাকে জামিন দেওয়া হয়নি।

এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

মিথ্যা মামলায় ১১ বছর জেল খেটেছে যুবদল কর্মি মিজুর

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৩১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

দীর্ঘ ১১ বছর জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়ন যুবদল কর্মি মিজানুর রহমান ওরফে মিজু। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতার ১৬ বছর শুধু মাত্র ছাত্রদল করার কারণে তার ওপর নেমে আসে নানা জেল জুলুম। বার বার সীমাহীন নিপীড়ন সত্ত্বেও জেল থেকে বেরিয়েই ছিলেন আন্দোলনের মাঠে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আওয়ামী লীগ আমলে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানির প্রতিবাদে জেলা শহর মাইজদীর ইউরো শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী যুবদল কর্মি মিজানুর রহমান মিজু।

সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মিজু লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, ২০১৪ সালে ২২ বছর বয়সে শুধু মাত্র ছাত্রদল করার কারণে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। ৮দিন আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে হাত-পায়ের নখ উপড়ে গোপনাঙ্গে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ নিষাদ সেলিম হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা, পুলিশ ফাইটসহ ৫টি মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামি দেখিয়ে চালান দেওয়া হয়।

দুই বছর জেল খেটে বের হওয়ার পর পুনরায় নিজ এলাকা থেকে ২০১৬ সালে আমাকে গ্রেপ্তার করে ৩টি মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ শাসনামলের ১৬ বছরের মধ্যে ১১ বছর আমি কারাগারে বন্দি ছিলাম। আমার বন্দি জীবনের চিন্তায় আমার বাবা ২০২২ সালে স্ট্রোক করে মারা যান।

তিনি আরও বলেন, খুনি হাসিনার বন্দিশালায় যাওয়ার পর একটি সাজানো অস্ত্র মামলায় তদবির করে আমাকে ১৭ বছর সাজার দেওয়া হয়। ওই মামলায় টানা  ৭বছর জেলে বন্দি ছিলাম। সাত বছরের মধ্যে বহুবার আমি জামিনের আবেদন করেছি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আদালত আমাকে জামিন দেয়নি। ২০২৩ সালে ৯ জানুয়ারি অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পর জামিনে জামিনে মুক্তি পাই। এর দুই মাস পর ষড়যন্ত্র করে আবার আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার দেখায়। ২০২৩ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাকে ৩বার গ্রেপ্তার করা হয়। বাবা মারা যাওয়ার আমি প্যারোলে জামিন চেয়েছি। কিন্ত আমাকে জামিন দেওয়া হয়নি।

এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।