ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
উত্তরা মন্দিরে আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের পরিদর্শন জুডিসিয়াল সার্ভিস পে-কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনের সেকেন্ড ইন কমান্ড পাভেল মোল্লার দৌরাত্ম্যে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ সাকিবকে নিয়ে ভিপি সাদিকের স্ট্যাটাস মধ্যরাতে সাকিবের রহস্যময় পোস্ট জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট বাংলাদেশসহ ৭৭ দেশের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু, মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগনের আস্থা অর্জন করা যায় – মনোয়ারা বেগম সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ রিমান্ডে টেকসই পর্যটনের জন্য প্রকৃতি রক্ষা অপরিহার্য – পরিবেশ উপদেষ্টা

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড

আইন - আদালত ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • / ২২৩ Time View

কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা তথ্য গোপন করে বিভ্রান্তিকর কাগজপত্র দাখিল করে যদি নিজেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাই যোদ্ধা দাবি করেন বা সুবিধা গ্রহণ করেন, তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।

নতুন এক অধ্যাদেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।

এই অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, কার্যাবলি, কর্মচারীসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার বিস্তারিত এখানে উল্লেখ রয়েছে।

চতুর্থ অধ্যায়ে অপরাধ ও বিচার বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি শহীদ পরিবারের সদস্য বা যেকোনো শ্রেণির আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)–এ বর্ণিত অপরাধ সংঘটন করলে তিনি অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উপধারা (১)–এ উল্লিখিত গৃহীত সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ছাড়া অধ্যাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ আর আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনটি শ্রেণি রয়েছে—অতি গুরুতর আহত, গুরুতর আহত ও আহত।

অধ্যাদেশে জুলাই শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছরের কারাদণ্ড

আইন - আদালত ডেস্ক
Update Time : ০৭:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা তথ্য গোপন করে বিভ্রান্তিকর কাগজপত্র দাখিল করে যদি নিজেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাই যোদ্ধা দাবি করেন বা সুবিধা গ্রহণ করেন, তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।

নতুন এক অধ্যাদেশে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।

এই অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, কার্যাবলি, কর্মচারীসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার বিস্তারিত এখানে উল্লেখ রয়েছে।

চতুর্থ অধ্যায়ে অপরাধ ও বিচার বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি শহীদ পরিবারের সদস্য বা যেকোনো শ্রেণির আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)–এ বর্ণিত অপরাধ সংঘটন করলে তিনি অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উপধারা (১)–এ উল্লিখিত গৃহীত সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ছাড়া অধ্যাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ আর আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনটি শ্রেণি রয়েছে—অতি গুরুতর আহত, গুরুতর আহত ও আহত।

অধ্যাদেশে জুলাই শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।