ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিত্র দলের আরও ৭ নেতাকে আসন ছাড় বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৪৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২১ Time View

বিএনপি।

বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়া সমমনা দল ও জোটের আরও ৭ নেতাকে আসন ছাড় দিয়েছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিএনপির মিত্র হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের আসনে প্রার্থী দেবে না বিএনপি। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি জানান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ঢাকা-১৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি বিএনপিতে যোগ দেবেন।

ঢাকা-১২ আসনে প্রার্থী হবেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ আসনে লড়বেন। এ দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের জন্য ঝিনাইদহ-৪ আসন ছাড় দেবে বিএনপি। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসনে প্রার্থী হবেন। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার পিরোজপুর-১ আসনে লড়বেন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি লড়বেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন থেকে। এসব আসনে তাদের সমর্থন জানিয়ে দলীয় কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে না বিএনপি।

এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭ আসনে প্রার্থী হবেন। তিনি এরই মধ্যে আজ বিএনপিতে যোগদান করেছেন। বুধবার গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদানের ঘোষণা দেন তিনি।

এদিকে সমমনা দল ও জোটকে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি আলোচনা চালালেও এটি মানতে নারাজ দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বেশ কয়েকটি আসনে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে মিত্র দলের নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিএনপির মিত্র হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএম, চারদলীয় বাম জোট, লেবার পার্টিসহ প্রায় ৫৭টি দল ও জোট ছিল। গত অক্টোবরে দলগুলো মোট ২২২টি আসন দাবি করে।

এর মধ্যে সাবেক বিএনপি নেতা অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ৪০টি আসন চেয়েছে। ১২ দলীয় জোট ২১টি, গণফোরাম ১৫, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯, বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) ৫, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ৬ এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) ১০টি আসন চেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে চারটি আসনে সমঝোতার ঘোষণা দিয়েছে।

আগের দিন মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এতে ঘোষণা করা হয়, নীলফামারী-১ আসনে জমিয়তের মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সিলেট-৫ আসনে মাওলানা মো. উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব নির্বাচন করবেন। এসব আসনে বিএনপি তাদের কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

মিত্র দলের আরও ৭ নেতাকে আসন ছাড় বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০২:৪৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়া সমমনা দল ও জোটের আরও ৭ নেতাকে আসন ছাড় দিয়েছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিএনপির মিত্র হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের আসনে প্রার্থী দেবে না বিএনপি। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি জানান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ঢাকা-১৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি বিএনপিতে যোগ দেবেন।

ঢাকা-১২ আসনে প্রার্থী হবেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ আসনে লড়বেন। এ দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের জন্য ঝিনাইদহ-৪ আসন ছাড় দেবে বিএনপি। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসনে প্রার্থী হবেন। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার পিরোজপুর-১ আসনে লড়বেন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি লড়বেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন থেকে। এসব আসনে তাদের সমর্থন জানিয়ে দলীয় কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে না বিএনপি।

এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭ আসনে প্রার্থী হবেন। তিনি এরই মধ্যে আজ বিএনপিতে যোগদান করেছেন। বুধবার গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদানের ঘোষণা দেন তিনি।

এদিকে সমমনা দল ও জোটকে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি আলোচনা চালালেও এটি মানতে নারাজ দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বেশ কয়েকটি আসনে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে মিত্র দলের নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিএনপির মিত্র হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএম, চারদলীয় বাম জোট, লেবার পার্টিসহ প্রায় ৫৭টি দল ও জোট ছিল। গত অক্টোবরে দলগুলো মোট ২২২টি আসন দাবি করে।

এর মধ্যে সাবেক বিএনপি নেতা অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ৪০টি আসন চেয়েছে। ১২ দলীয় জোট ২১টি, গণফোরাম ১৫, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯, বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) ৫, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ৬ এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) ১০টি আসন চেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে চারটি আসনে সমঝোতার ঘোষণা দিয়েছে।

আগের দিন মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এতে ঘোষণা করা হয়, নীলফামারী-১ আসনে জমিয়তের মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সিলেট-৫ আসনে মাওলানা মো. উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব নির্বাচন করবেন। এসব আসনে বিএনপি তাদের কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।