ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস! ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা! বৈছাআ ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, রংপুরে ছুটে এলেন সারজিস দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি – উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান টাকার বিনিময়ে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে সাব পোস্টমাস্টারসহ ২জনের মৃত্যু, নিখোঁজ-২ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণের সাথে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে – পানি সম্পদ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশে নিন্দা ও প্রতিবাদ এনসিপি’র যুক্তরাজ্যে ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ

‘মিডিয়ায় অপপ্রচারে’ কুবি শিক্ষার্থীকে মানসিক হেনস্তা করার অভিযোগ

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / ৪৪ Time View

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ তাজওয়ারকে ছাত্রদলের সাথে জড়িত হয়ে হামলা করার অভিযোগ এনে ‘অপপ্রচার’ চালিয়ে মানসিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্র উল্লেখ করা হয়, ‘গত ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে হামলার অভিযোগ আনা হয়। যাচাই-বাছাই ছাড়া এই অভিযোগটি দৈনিক সারাদেশ, সমকাল, বাণিজ্য প্রতিদিন, ব্রেকিং নিউজ, দ্য স্টুডেন্টস আই, কুমিল্লা নিউজ, রাইজিং ক্যাম্পাস, ঢাকা মেইল, ঢাকা ইনসাইটসসহ আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে আমি মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।’

‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কখনোই সম্পৃক্ত ছিলাম না, এখনো নই। উক্ত দিন আমি কেবলমাত্র আমার বিভাগীয় এক সহপাঠী ও জুনিয়র শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এগিয়ে যাই। একটি ভিডিও ফুটেজে আমাকে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেলেও, সেখানে উপস্থিত অন্যদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, আমি কাউকে আঘাত করেছি বা হামলা করেছি—এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাহমিদ তাজওয়ার বলেন, ‘যে ঘটনার কারণে আমার নাম এসেছে নিউজ পোর্টালগুলোতে আদতে সেগুলো সম্পর্কে আমি নিউজ প্রকাশের আগ পর্যন্তও অবহিত ছিলাম না। সেদিন মুক্তমঞ্চের কন্সার্ট এ আমি এমনিতেই দেরি করে এসেছিলাম শহরে কাজ থাকাতে। আসামাত্রই দেখি সেখানে হট্টগোল চলছে। সেখানে আমার ব্যাচমেট ও জুনিয়র কয়েকজনকে দেখে আমি এগিয়ে যাই। পরবর্তীতে জানতে পারি আমার বিভাগের ব্যাচমেট ও জুনিয়র কয়েকজনের সাথে এমসিজে ডিপার্টমেন্ট এর কয়েকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় অন্য যে কারোর মতই আমি প্রতিবাদ জানাতে যাই (কোনভাবেই কাউকে আঘাত করে নয়)। এমন সময়ই সেখানে আমার এক ব্যাচমেট ও জুনিয়রকে নিয়ে টানাহেচড়া করতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। সেখানে কোন রাজনৈতিক দলের বা অন্য কোন পরিচয়ের কে বা কারা ছিল তা আমার জানা ছিল না আর জানার কথাও না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন সংস্কৃতিমনা ও অরাজনৈতিক শিক্ষার্থী। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কিংবা কোনো অসদাচরণে জড়িত থাকার রেকর্ড নেই। এই প্রেক্ষাপটে, উক্ত অপপ্রচারের কারণে আমি মানসিকভাবে গভীরভাবে আহত ও বিপর্যস্ত।’

অভিযুক্ত দৈনিক সমকালের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আনিসুর রহমান বলেন, “ছাত্রদলের যারা ছিল, সে তাদের সঙ্গে এসে বলেছে—‘আগে সাংবাদিকদের মার।’ যখন সে ছাত্রদলের সঙ্গে গিয়ে এবং ছাত্রদলের পোস্টেড নেতার সঙ্গে গিয়ে সাংবাদিকদের মারার কথা বলছে, তখন তো বুঝতেই হচ্ছে, সেও তাদের সাথেই ছিল। সেই ভিত্তিতেই এখানে তার নাম এসেছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘যে নিউজে তাজের নাম মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে এসেছে। তবে সংবাদটিতে দেখা যায় উল্লেখ করা হয়েছে শাখা ছাত্রদল কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৭ তম আবর্তনের তাজওয়ার তাজসহ আরও ২০-২৫ জন।’

ঢাকা মেইলের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি চৌধুরী মাছাবিহ্ বলেন, ‘তার ছাত্রদলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ না পাওয়া গেলেও, যখন আমি ছাত্রদল নেতা শুভ ও শাফায়েত সজলকে প্রশ্ন করছিলাম, তখন সে পেছন থেকে আমাকে আক্রমণের চেষ্টা করছিল। সাধারণত কারো আদর্শিক অবস্থান পরিষ্কার থাকলে, সে তার নেতাকে সমর্থন দেয়। তাই যখন আমি ছাত্রদলের নেতাদের প্রশ্ন করছিলাম, তখন সে তাদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের হেনস্তা করেছে। এজন্যই আমি সংবাদে তার নাম উল্লেখ করেছি।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমার কাছে একটা মেইল এসেছে, মেইল পেয়েছি, তবে এ ব্যাপারে এখন কিছু করা সম্ভব না কারণ ক্যাম্পাস বন্ধ। ক্যাম্পাস খুললে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি একটা মিটিং করবো।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে ‘স্লেজিং’ করাকে কেন্দ্র করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে মার্কেটিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক চৌধুরী মাছাবিহ্ এবং আবু শামার ওপর ছাত্রদলের কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠে। তবে ছাত্রদল বলছে তারা কোন সাংবাদিককে হেনস্তা বা কাজে বাধা দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অনুপস্থিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আয়োজনের কথা চিন্তা করে তারা কোন্দল থামাতে যান। সেখানে সাংবাদিকও ছিল। ধাক্কাধাক্কি থামাতে গিয়ে ভীড়কে একদিকে সরাতে গিয়ে অনেকে বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেনি বলে এমন ধরনের অভিযোগ আসছে।

Please Share This Post in Your Social Media

‘মিডিয়ায় অপপ্রচারে’ কুবি শিক্ষার্থীকে মানসিক হেনস্তা করার অভিযোগ

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ তাজওয়ারকে ছাত্রদলের সাথে জড়িত হয়ে হামলা করার অভিযোগ এনে ‘অপপ্রচার’ চালিয়ে মানসিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্র উল্লেখ করা হয়, ‘গত ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে হামলার অভিযোগ আনা হয়। যাচাই-বাছাই ছাড়া এই অভিযোগটি দৈনিক সারাদেশ, সমকাল, বাণিজ্য প্রতিদিন, ব্রেকিং নিউজ, দ্য স্টুডেন্টস আই, কুমিল্লা নিউজ, রাইজিং ক্যাম্পাস, ঢাকা মেইল, ঢাকা ইনসাইটসসহ আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে আমি মানসিকভাবে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।’

‘আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কখনোই সম্পৃক্ত ছিলাম না, এখনো নই। উক্ত দিন আমি কেবলমাত্র আমার বিভাগীয় এক সহপাঠী ও জুনিয়র শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এগিয়ে যাই। একটি ভিডিও ফুটেজে আমাকে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেলেও, সেখানে উপস্থিত অন্যদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, আমি কাউকে আঘাত করেছি বা হামলা করেছি—এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাহমিদ তাজওয়ার বলেন, ‘যে ঘটনার কারণে আমার নাম এসেছে নিউজ পোর্টালগুলোতে আদতে সেগুলো সম্পর্কে আমি নিউজ প্রকাশের আগ পর্যন্তও অবহিত ছিলাম না। সেদিন মুক্তমঞ্চের কন্সার্ট এ আমি এমনিতেই দেরি করে এসেছিলাম শহরে কাজ থাকাতে। আসামাত্রই দেখি সেখানে হট্টগোল চলছে। সেখানে আমার ব্যাচমেট ও জুনিয়র কয়েকজনকে দেখে আমি এগিয়ে যাই। পরবর্তীতে জানতে পারি আমার বিভাগের ব্যাচমেট ও জুনিয়র কয়েকজনের সাথে এমসিজে ডিপার্টমেন্ট এর কয়েকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় অন্য যে কারোর মতই আমি প্রতিবাদ জানাতে যাই (কোনভাবেই কাউকে আঘাত করে নয়)। এমন সময়ই সেখানে আমার এক ব্যাচমেট ও জুনিয়রকে নিয়ে টানাহেচড়া করতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। সেখানে কোন রাজনৈতিক দলের বা অন্য কোন পরিচয়ের কে বা কারা ছিল তা আমার জানা ছিল না আর জানার কথাও না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন সংস্কৃতিমনা ও অরাজনৈতিক শিক্ষার্থী। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কিংবা কোনো অসদাচরণে জড়িত থাকার রেকর্ড নেই। এই প্রেক্ষাপটে, উক্ত অপপ্রচারের কারণে আমি মানসিকভাবে গভীরভাবে আহত ও বিপর্যস্ত।’

অভিযুক্ত দৈনিক সমকালের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আনিসুর রহমান বলেন, “ছাত্রদলের যারা ছিল, সে তাদের সঙ্গে এসে বলেছে—‘আগে সাংবাদিকদের মার।’ যখন সে ছাত্রদলের সঙ্গে গিয়ে এবং ছাত্রদলের পোস্টেড নেতার সঙ্গে গিয়ে সাংবাদিকদের মারার কথা বলছে, তখন তো বুঝতেই হচ্ছে, সেও তাদের সাথেই ছিল। সেই ভিত্তিতেই এখানে তার নাম এসেছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘যে নিউজে তাজের নাম মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে এসেছে। তবে সংবাদটিতে দেখা যায় উল্লেখ করা হয়েছে শাখা ছাত্রদল কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৭ তম আবর্তনের তাজওয়ার তাজসহ আরও ২০-২৫ জন।’

ঢাকা মেইলের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি চৌধুরী মাছাবিহ্ বলেন, ‘তার ছাত্রদলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ না পাওয়া গেলেও, যখন আমি ছাত্রদল নেতা শুভ ও শাফায়েত সজলকে প্রশ্ন করছিলাম, তখন সে পেছন থেকে আমাকে আক্রমণের চেষ্টা করছিল। সাধারণত কারো আদর্শিক অবস্থান পরিষ্কার থাকলে, সে তার নেতাকে সমর্থন দেয়। তাই যখন আমি ছাত্রদলের নেতাদের প্রশ্ন করছিলাম, তখন সে তাদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের হেনস্তা করেছে। এজন্যই আমি সংবাদে তার নাম উল্লেখ করেছি।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমার কাছে একটা মেইল এসেছে, মেইল পেয়েছি, তবে এ ব্যাপারে এখন কিছু করা সম্ভব না কারণ ক্যাম্পাস বন্ধ। ক্যাম্পাস খুললে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি একটা মিটিং করবো।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে ‘স্লেজিং’ করাকে কেন্দ্র করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে মার্কেটিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক চৌধুরী মাছাবিহ্ এবং আবু শামার ওপর ছাত্রদলের কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠে। তবে ছাত্রদল বলছে তারা কোন সাংবাদিককে হেনস্তা বা কাজে বাধা দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অনুপস্থিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আয়োজনের কথা চিন্তা করে তারা কোন্দল থামাতে যান। সেখানে সাংবাদিকও ছিল। ধাক্কাধাক্কি থামাতে গিয়ে ভীড়কে একদিকে সরাতে গিয়ে অনেকে বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেনি বলে এমন ধরনের অভিযোগ আসছে।