ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মাস্তু কালন্দার’ এর পেছনের গল্প কী ছিল- জানালেন রুনা লায়লা

বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১২ Time View

রুনা লায়লা

‘মাস্ত কালান্দার’ মূলত সুফিগান। রুনা লায়লা গানটি গাওয়ার সময় যখন হাত কপালে ঠেকিয়ে সালাম করছিলেন, তখনই বোঝা যায় এ গানের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য।

কাওয়ালি ঘরানার গানটি ভারতের পাঞ্জাব, পাকিস্তানের সিন্ধ আর ইরানেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। পাকিস্তানের সিন্ধের সুফিসাধক সৈয়দ উসমান মারভান্দির (১১৭৭-১২৭৪) প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গানটি গাওয়া হয়েছে।

কে এই কালান্দার

সব ধর্ম ও শ্রেণির লোকের কাছেই জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধেয় গুরু ছিলেন সৈয়দ উসমান মারভান্দি। ভক্তরাই তাঁর নাম দেন ‘লাল শাহবাজ কালান্দার’, যার প্রতিটি অংশের আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। তিনি লাল বা গেরুয়া রঙের পোশাক পরতেন। আবার প্রিয়জন বোঝাতেও ব্যবহার করা হয় ‘লাল’ শব্দ। সুফিবাদে লাল রং ভক্তি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক। ‘লাল’ শব্দটি তাই লাল শাহবাজ কালান্দারের যৌবন, তাঁর কিংবদন্তি রক্তিম আভা কিংবা তাঁর লাল পোশাক—সবকিছুর দিকেই ইঙ্গিত করে। শাহ অর্থ রাজা, বাজ বলতে বাজপাখি। সাধক হিসেবে তাঁর উচ্চমন আর আধ্যাত্মিকতাকে বোঝাতে তাঁকে শাহবাজ বলা হয়। কালান্দার ভ্রাম্যমাণ সুফিসাধক। দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত বোঝাতেও বলা হয়ে থাকে। তাই ‘লাল শাহবাজ কালান্দার’ নামের মধ্যেই তাঁর প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।

লাল শাহবাজ কালান্দার ইরানের মারভান্দ অঞ্চলে আনুমানিক ১১৭৭ সালের দিকে জন্মগ্রহণ করেন। তরুণ বয়সে আধ্যাত্মিক সাধনা ও জ্ঞানার্জনের জন্য তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করেন। অবশেষে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ান শরিফে এসে স্থায়ী হন। এখানেই তিনি মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রচার করেন। ১২৭৪ সালে তিনি সেহওয়ান শরিফে মৃত্যুবরণ করেন। সেহওয়ান শরিফে তাঁর দরগাহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুফি তীর্থস্থান।

‘মাস্ত কালান্দার’ গান

‘দামা দাম মাস্ত কালান্দার’-এর প্রতিটি শব্দ ভক্তি, প্রেম, আধ্যাত্মিক উচ্ছ্বাস এবং আনন্দ প্রকাশ করে। পাঞ্জাবি ভাষায় রচিত গানটির কয়েকটি লাইনের অর্থ জানা যাক, ‘ও লাল মেরি, পাট রাখিওবালা, ঝুলেলালান/ সিন্দরি দা, সেহওয়ান দা, সাখি শাহবাজ কালান্দার। দামা দাম মাস্ত কালান্দার/ আলী দা পেহলা নাম্বার’। এর অর্থ হলো ‘হে আমার লাল, আমাকে সর্বদা রক্ষা করো, ঝুলেলাল। সিন্ধ ও সেহওয়ানের বন্ধু, প্রিয়জন শাহবাজ কালান্দার। প্রতি শ্বাসে, প্রতি মুহূর্তে—কালান্দার মহান। সবার আগে আলী (রা.)।’ এ ছাড়া গানে আছে ‘হার দম পীড়া তেরে খের হোভে/ নাম-এ-আলী বেদা পার লাগা ঝুলে লালান’, যার অর্থ ‘হে পীর, তোমার নাম সর্বদা কল্যাণে ভরা থাকুক। আলী (রা.)-এর নামে, আমার নৌকাকে তীরে পৌঁছে দাও, প্রিয় ঝুলেলাল।’

গানটি হিন্দু-মুসলমান ঐক্যেরও সংগীত। মুসলমানদের কাছে তিনি ছিলেন হজরত শাহবাজ কালান্দার; হিন্দুদের কাছে ঝুলেলাল। সিন্ধি হিন্দুরা তাঁকে স্নেহভরে ‘ঝুলেলাল’ নামেও ডাকত। কারণ, তারা বিশ্বাস করত, সমুদ্র বা পানির দেবতা ‘ঝুলেলাল’ তাঁর মধ্যে পুনর্জন্ম লাভ করেছে। সিন্ধিরা যেহেতু সমুদ্রগামী মানুষ আর ঝুলেলাল হলেন সমুদ্রের রক্ষাকর্তা, তাই এখানে একটি বিনম্র প্রার্থনা লুকিয়ে আছে।

হিন্দু ও মুসলমান—উভয় ভাবধারার মূল্যবোধ একই বাক্যের মধ্যে মিলিত হয়েছে। গানটি সাধক ও ভক্তদের মধ্যে এক আধ্যাত্মিক যোগ তৈরি করে। ভক্তিমূলক গানটির সৌন্দর্য হলো এটি ধর্মীয় পার্থক্যকে অতিক্রম করে যায়। তাই তো উপমহাদেশে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের মধ্যে এটি জনপ্রিয়।

যাঁরা গেয়েছেন

লাল শাহবাজ কালান্দারের দরগাহ ঘিরে প্রচলিত কিংবদন্তি, তেরো শতকে মূল গানটি রচনা করেন সুফি কবি আমির খসরু। পরে আঠরো শতকে আরেক পাঞ্জাবি কবি ও বিপ্লবী বুল্লে শাহ এটি পরিমার্জন করেন। সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার অনেক আগে থেকেই শাহবাজ কালান্দারের দরগাহে এই গান গাওয়া হতো। ১৯৫৬ সালে কিছু কথা বদল করে পাকিস্তানি ছবি ‘জাবরু’র জন্য গানটির একটি ‘ধামাল’ (একধরনের সুফি নৃত্যানুষ্ঠান) সংস্করণ তৈরি করেন সুরকার আশিক হুসাইন। এটিতে কণ্ঠ দেন ইনায়েত হোসেন ভাট্টি, ফজল হুসেন এবং এ আর বিসমিল। পরে ১৯৬৯ সালে ‘দিল্লান দে সৌদে’ ছবির জন্য এটিতে আরও কিছুটা পরিবর্তন আনেন নাজির আলী। নূরজাহানের কণ্ঠে ব্যাপক পরিচিতি পায় এই সংস্করণ।

পরে নানা সময়ে বহু শিল্পী ও সুরকার এই সুফিগান করেছেন। পাকিস্তানে এই গান গেয়েছেন নুসরাত ফতেহ আলী খান, আজিজ মিয়াঁ, আবিদা পারভীন, শাজিয়া খুশক, সাবরি ব্রাদার্স, রেশমা, কোমল রিজভি, জুনুন।

ভারতের হংসরাজ হংস, ওয়াদালি ব্রাদার্স, হর্ষদীপ কৌর, নুরান সিস্টারস, আলিশা চিনাই, অমিত কুমার, বাবা সেহগল ও অলকা ইয়াগনিক, রেখা ভরদ্বাজ, রাশি সলিল হারমালকররাও এটি গেয়েছেন।

বাংলাদেশ থেকে এটি গেয়েছেন রুনা লায়লা, দুই দফা। প্রথমবার কবে গেয়েছিলেন, সেটা তাঁর এখন আর মনে নেই। তবে প্রথম অ্যালবামের জন্য রেকর্ড করেছিলেন ১৯৭০ সালে, নিসার বাজমির সংগীতায়োজনে আর কোক স্টুডিও বাংলার জন্য সায়ান চৌধুরী অর্ণব ও অদিত রহমানের প্রযোজনায় গাইলেন সম্প্রতি।

তবে অনেকে গাইলেও নূরজাহান, আবিদা পারভীন, শাজিয়া খুশক ও রুনা লায়লার কণ্ঠেই গানটি পরিচিতি পেয়েছে বেশি।

‘দামা দাম মাস্ত কালান্দার’ শুধু একটি গান নয়; এটি প্রতিষ্ঠিত শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক। গানটি যেন এই উপমহাদেশের মানুষের প্রতি বার্তা—প্রেম, সংগীত আর নৃত্য কখনো বিভাজনের কাছে হার মানে না।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

‘মাস্তু কালন্দার’ এর পেছনের গল্প কী ছিল- জানালেন রুনা লায়লা

বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ০৩:০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

‘মাস্ত কালান্দার’ মূলত সুফিগান। রুনা লায়লা গানটি গাওয়ার সময় যখন হাত কপালে ঠেকিয়ে সালাম করছিলেন, তখনই বোঝা যায় এ গানের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য।

কাওয়ালি ঘরানার গানটি ভারতের পাঞ্জাব, পাকিস্তানের সিন্ধ আর ইরানেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। পাকিস্তানের সিন্ধের সুফিসাধক সৈয়দ উসমান মারভান্দির (১১৭৭-১২৭৪) প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গানটি গাওয়া হয়েছে।

কে এই কালান্দার

সব ধর্ম ও শ্রেণির লোকের কাছেই জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধেয় গুরু ছিলেন সৈয়দ উসমান মারভান্দি। ভক্তরাই তাঁর নাম দেন ‘লাল শাহবাজ কালান্দার’, যার প্রতিটি অংশের আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। তিনি লাল বা গেরুয়া রঙের পোশাক পরতেন। আবার প্রিয়জন বোঝাতেও ব্যবহার করা হয় ‘লাল’ শব্দ। সুফিবাদে লাল রং ভক্তি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক। ‘লাল’ শব্দটি তাই লাল শাহবাজ কালান্দারের যৌবন, তাঁর কিংবদন্তি রক্তিম আভা কিংবা তাঁর লাল পোশাক—সবকিছুর দিকেই ইঙ্গিত করে। শাহ অর্থ রাজা, বাজ বলতে বাজপাখি। সাধক হিসেবে তাঁর উচ্চমন আর আধ্যাত্মিকতাকে বোঝাতে তাঁকে শাহবাজ বলা হয়। কালান্দার ভ্রাম্যমাণ সুফিসাধক। দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত বোঝাতেও বলা হয়ে থাকে। তাই ‘লাল শাহবাজ কালান্দার’ নামের মধ্যেই তাঁর প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।

লাল শাহবাজ কালান্দার ইরানের মারভান্দ অঞ্চলে আনুমানিক ১১৭৭ সালের দিকে জন্মগ্রহণ করেন। তরুণ বয়সে আধ্যাত্মিক সাধনা ও জ্ঞানার্জনের জন্য তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করেন। অবশেষে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ান শরিফে এসে স্থায়ী হন। এখানেই তিনি মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রচার করেন। ১২৭৪ সালে তিনি সেহওয়ান শরিফে মৃত্যুবরণ করেন। সেহওয়ান শরিফে তাঁর দরগাহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুফি তীর্থস্থান।

‘মাস্ত কালান্দার’ গান

‘দামা দাম মাস্ত কালান্দার’-এর প্রতিটি শব্দ ভক্তি, প্রেম, আধ্যাত্মিক উচ্ছ্বাস এবং আনন্দ প্রকাশ করে। পাঞ্জাবি ভাষায় রচিত গানটির কয়েকটি লাইনের অর্থ জানা যাক, ‘ও লাল মেরি, পাট রাখিওবালা, ঝুলেলালান/ সিন্দরি দা, সেহওয়ান দা, সাখি শাহবাজ কালান্দার। দামা দাম মাস্ত কালান্দার/ আলী দা পেহলা নাম্বার’। এর অর্থ হলো ‘হে আমার লাল, আমাকে সর্বদা রক্ষা করো, ঝুলেলাল। সিন্ধ ও সেহওয়ানের বন্ধু, প্রিয়জন শাহবাজ কালান্দার। প্রতি শ্বাসে, প্রতি মুহূর্তে—কালান্দার মহান। সবার আগে আলী (রা.)।’ এ ছাড়া গানে আছে ‘হার দম পীড়া তেরে খের হোভে/ নাম-এ-আলী বেদা পার লাগা ঝুলে লালান’, যার অর্থ ‘হে পীর, তোমার নাম সর্বদা কল্যাণে ভরা থাকুক। আলী (রা.)-এর নামে, আমার নৌকাকে তীরে পৌঁছে দাও, প্রিয় ঝুলেলাল।’

গানটি হিন্দু-মুসলমান ঐক্যেরও সংগীত। মুসলমানদের কাছে তিনি ছিলেন হজরত শাহবাজ কালান্দার; হিন্দুদের কাছে ঝুলেলাল। সিন্ধি হিন্দুরা তাঁকে স্নেহভরে ‘ঝুলেলাল’ নামেও ডাকত। কারণ, তারা বিশ্বাস করত, সমুদ্র বা পানির দেবতা ‘ঝুলেলাল’ তাঁর মধ্যে পুনর্জন্ম লাভ করেছে। সিন্ধিরা যেহেতু সমুদ্রগামী মানুষ আর ঝুলেলাল হলেন সমুদ্রের রক্ষাকর্তা, তাই এখানে একটি বিনম্র প্রার্থনা লুকিয়ে আছে।

হিন্দু ও মুসলমান—উভয় ভাবধারার মূল্যবোধ একই বাক্যের মধ্যে মিলিত হয়েছে। গানটি সাধক ও ভক্তদের মধ্যে এক আধ্যাত্মিক যোগ তৈরি করে। ভক্তিমূলক গানটির সৌন্দর্য হলো এটি ধর্মীয় পার্থক্যকে অতিক্রম করে যায়। তাই তো উপমহাদেশে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের মধ্যে এটি জনপ্রিয়।

যাঁরা গেয়েছেন

লাল শাহবাজ কালান্দারের দরগাহ ঘিরে প্রচলিত কিংবদন্তি, তেরো শতকে মূল গানটি রচনা করেন সুফি কবি আমির খসরু। পরে আঠরো শতকে আরেক পাঞ্জাবি কবি ও বিপ্লবী বুল্লে শাহ এটি পরিমার্জন করেন। সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার অনেক আগে থেকেই শাহবাজ কালান্দারের দরগাহে এই গান গাওয়া হতো। ১৯৫৬ সালে কিছু কথা বদল করে পাকিস্তানি ছবি ‘জাবরু’র জন্য গানটির একটি ‘ধামাল’ (একধরনের সুফি নৃত্যানুষ্ঠান) সংস্করণ তৈরি করেন সুরকার আশিক হুসাইন। এটিতে কণ্ঠ দেন ইনায়েত হোসেন ভাট্টি, ফজল হুসেন এবং এ আর বিসমিল। পরে ১৯৬৯ সালে ‘দিল্লান দে সৌদে’ ছবির জন্য এটিতে আরও কিছুটা পরিবর্তন আনেন নাজির আলী। নূরজাহানের কণ্ঠে ব্যাপক পরিচিতি পায় এই সংস্করণ।

পরে নানা সময়ে বহু শিল্পী ও সুরকার এই সুফিগান করেছেন। পাকিস্তানে এই গান গেয়েছেন নুসরাত ফতেহ আলী খান, আজিজ মিয়াঁ, আবিদা পারভীন, শাজিয়া খুশক, সাবরি ব্রাদার্স, রেশমা, কোমল রিজভি, জুনুন।

ভারতের হংসরাজ হংস, ওয়াদালি ব্রাদার্স, হর্ষদীপ কৌর, নুরান সিস্টারস, আলিশা চিনাই, অমিত কুমার, বাবা সেহগল ও অলকা ইয়াগনিক, রেখা ভরদ্বাজ, রাশি সলিল হারমালকররাও এটি গেয়েছেন।

বাংলাদেশ থেকে এটি গেয়েছেন রুনা লায়লা, দুই দফা। প্রথমবার কবে গেয়েছিলেন, সেটা তাঁর এখন আর মনে নেই। তবে প্রথম অ্যালবামের জন্য রেকর্ড করেছিলেন ১৯৭০ সালে, নিসার বাজমির সংগীতায়োজনে আর কোক স্টুডিও বাংলার জন্য সায়ান চৌধুরী অর্ণব ও অদিত রহমানের প্রযোজনায় গাইলেন সম্প্রতি।

তবে অনেকে গাইলেও নূরজাহান, আবিদা পারভীন, শাজিয়া খুশক ও রুনা লায়লার কণ্ঠেই গানটি পরিচিতি পেয়েছে বেশি।

‘দামা দাম মাস্ত কালান্দার’ শুধু একটি গান নয়; এটি প্রতিষ্ঠিত শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক। গানটি যেন এই উপমহাদেশের মানুষের প্রতি বার্তা—প্রেম, সংগীত আর নৃত্য কখনো বিভাজনের কাছে হার মানে না।